প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৩২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ভাই-বোনদের একাংশের মধ্যে আওয়ামী পেতাত্মারা ঢুকে পড়ছে
-অ্যাডঃ একেএম সলিম উল্লাহ সেলিম
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট একেএম সলিম উল্লাহ সেলিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ পেতাত্মারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-ভাইদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তাদের পতিত সরকারের টাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ভাই-বোনদেন একাংশকে ভুল বুঝিয়ে বিএনপি বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা নানাভাবে বিএনপি’কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে যা মোটেও কাম্য নয়।
|আরো খবর
২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের উদ্দ্যেশ্যে তিনি তার দেয়া এক বিবৃতিতে এসব জানিয়েছেন।
এডভোকেট একেএম সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন,আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চাঁদপুর -৩ আসনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জননন্দিত জনবান্ধব বলিষ্ঠ নেতা চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে এবং বিএনপিকে নিয়ে প্রশাসন ও জনগণের সম্মুখে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কতিপয় ছাত্র ভাই-বোনরা প্রশাসনকে একটি মিথ্যা বানোয়াট স্মারকলিপি তৈরি করে হস্তান্তর করেছে। যা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য এইযে, স্মারক লিপিটি প্রস্তুতকারীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ক্ষুদ্র অংশকে ব্যবহার করে চাঁদপুরে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ নেতা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পেছনে প্রথম থেকে বিএনপি সহ বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সমর্থকগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো। যার কারনে আন্দোলন সফল এবং শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হয়েছে। বিগত ১৬ বছর বিএনপি সহ প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দাবি ছিলো একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। জনগণের ভোটের অধিকারসহ যাবতীয় মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আর এসব দাবি পূরণে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির নেতারা গুমের শিকার হয়েছে। শত শত হাজার হাজার নেতা কর্মীর রক্তে রঞ্জিত হয়েছে রাজপথ। হাজার হাজার মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীদের মাসের পর মাস বছরের পর বছর নির্যাতিত করে জেলে রেখে তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা হয়েছিলো।
তিনি বলেন, জনগণের দাবি সরকার যখন না মেনে একতরফা নির্বাচন এবং দেশের মেগা দুর্নীতিতে শেখ হাসিনা সরকার যখন নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। দেশের সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে প্রশাসনকে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ করে। তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন থেকে তিন বছর পূর্বে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে একটি জাতীয় সরকার তথা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করে মেরামত এবং শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করার জন্য পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। তাই ছাত্র জনতার আন্দোলনের সফলতাকে নসাৎ করার জন্য আওয়ামী প্রেতাত্মাদের অর্থের স্বার্থে চাঁদপুরে ঐক্যবদ্ধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিভাজন করে তাদের ভুল পথে পরিচালিত করার গভীর ষড়যন্ত্রে একটি চক্র লিপ্ত রয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে চাঁদপুরের জননন্দিত নেতা জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়ট কাল্পনিক স্মারকলিপি তৈরি করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে চাঁদপুরের সচেতন ছাত্র জনতা অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ এবং বিশেষ করে বিএনপি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এডভোকেট একেএম সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, আমরা বৈষম্য বিরোধী একাংশ ছাত্র ভাই-বোনদের সত্য ও সঠিক বিষয়টি বুঝা এবং জানার জন্য এই গভীর ষড়যন্ত্র থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে থাকা ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং সেই সাথে ব্যক্তি বা রাজনৈতিক নেতাদের ক্রীর্ণক হয়ে কাজ না করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।