প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৩০
ফরিদগঞ্জে ভাতিজার হাতে চাচা রক্তাত জখম
উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রামে ভাতিজার হাতে চাচা গুরুতর আহত হয়েছে।
|আরো খবর
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে মো.আনোয়ার উল্যার বাসগৃহে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা সাদ্দাম (২৫) এর বিরুদ্ধে। এ সময় সে চাচাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে জানান আনোয়ার উল্যা। সাদ্দাম দা দিয়ে মাথায় হাতে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাছাড়া সাবল দিয়ে আাঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। এক পর্যায় গলা চেঁপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে চাইলে তার এবং পরিবারের লোকজনের আত্নচিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুঁটে আসে। আহত আনোয়ার উল্যাকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আহত আনোয়ার উল্যার মেয়ে জেসমিন বেগম (৩৫) জানান, আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাদ্দাম, কাসেম, রফিক ও তার স্ত্রী গোলবাহার বেগম গংরা হামলা চালায়। তাছাড়া আমার বাবা ওদের বললেন, ‘স্থানীয় শালিসদের সিদ্ধান্ত যদি না মানা হয়, তাহলে আইনগত ভাবে থানায় বসে সমাধান করতে হবে। এ কথা বলার পর সাদ্দাম ওসিকে বেশ কিছু আপত্তিকর কথা বললে, আমার বাবা প্রতিবাদ করতে চাইলে বাবাকে সাদ্দাম ও কাসেম তাদের মা বাবার উপস্থিতিতে দা এবং সাবল ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আমাদের বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় কেউ সাহস করে বারণ করাতে পারেনি। এক পর্যায়ে বাবাকে গলা চেঁপে ধরে মেরে ফেলার জন্য চেস্টা করলে আমাদের ডাক চিৎকার করলে ছেড়ে দেয়। অত:পর বাবাকে তারা লাঠি সোঠা নিয়ে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এদিকে সাদ্দাম ও কাসেমের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আমার চাচা স্লাবের উপর পড়ে ব্যাথা পেয়েছে। আমরা তাকে মারিনি।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত তদন্ত কাজ শেষ করতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।’
আনোয়ার উল্যাহ জানান, ‘আমি ওদেরকে বলেছি, স্থানীয় শালিসী সিদ্ধান্ত না মানলে থানায় আইনগত ভাবে বসে সমাধাণ করতে হবে। এ কথা বলার পর পর থানার ওসিকে আপত্তিকর উক্তি করেছে কাসেম। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার উপর সাদ্দাম ও কাসেম তাদের মা বাবার সম্মুখে আমাকে দাও ও সাবল দিয়ে আঘাত করে আহত করেছে। তাছাড়া আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গলা চেঁপে ধরে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমি এ দুবৃর্ত্তদের কঠোর শাস্তির দাবী জানাই।’
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদ হোসেন বলেন,‘আনোয়ার উল্যাকে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্য জখম করার ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।