প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫১
প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকায় ক্ষোভ
আলোচিত শিক্ষক ফরহাদের ৩ লাখ টাকা কাবিনে ছাত্রী বিয়ে
হাজীগঞ্জে ছাত্রী বিয়ে করা সেই লম্পট শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বিদ্যালয়ে এখনো বহাল আছেন। উপজেলার বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রী বিয়ে করা ও আরেক শিক্ষক সে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার উপরে একটি সংবাদ প্রকাশ করে চাঁদপুর কণ্ঠ। গত ৫ দিনে ঘটনার সত্যতা ও প্রমান থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরাও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রমাণ নেই বলে বিষটি এড়িয়ে চলছেন। তবে চাঁদপুর কণ্ঠের হাতে লম্পট শিক্ষক ফরহাদের ছাত্রী বিয়ে করার ও বিভিন্ন অপর্কমের প্রমান রয়েছে।
|আরো খবর
চাঁদপুর কন্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষক ফরহাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন লোকজনের কাছে এর সত্যতা নেই বলে দাবি করেন। এছাড়াও শিক্ষক ফরহাদ চাঁদপুর কন্ঠের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে হুমকি দেয় এবং মিথ্যা প্রচার অব্যাহত রাখে। শিক্ষক ফরহাদের মিথ্যাচার দেখে গত কদিনে আরো কিছু তথ্য প্রমান সংগ্রহ করো চাঁদপুর কন্ঠের প্রতিবেদক। যেখানে ফরহাদ জনৈক ব্যক্তির সাথে সকল ঘটনা স্বীকার করেন। সে কথোপকথনের কল রেকর্ড চাঁদপুর কন্ঠের হাতে রয়েছে।
বিভিন্ন কল রেকর্ডের সূত্র ধরে ও অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১১ আগষ্ট তিন লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেছে বলে শিক্ষক ফরহাদ মোবাইল ফোনে জৈনিক ব্যক্তির সাথে স্বীকার করেন। বিয়ে মেনে নিতে মেয়ের পরিবারের কাছে তার বোন কে পাঠিয়েছে এবং তার প্রথম স্ত্রীকে সে রাজি করিয়েছ। দুই পরিবারের বিপত্তি দেখে ওই ছাত্রী ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করে এবং কয়েকদিন ভাত না খেয়ে থাকে। মেয়ের পরিবারকে জিম্মি করে রেখে সকল পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন ফরহাদ ও ইয়াকুব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক চাঁদপুর কন্ঠকে জানান, এতো কিছু হচ্ছে অথচ আমাদের প্রধান শিক্ষক অন্য শিক্ষকদের সাথে এখনো কোন আলাপ আলোচনা করেনি। এ মুহূর্তে আমাদের করণীয় কি সে ব্যাপারেও প্রধান শিক্ষক আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা করতে পারতেন। তাদের জন্য আমাদের সকলের এবং প্রতিষ্ঠানের বদনাম হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, আমাদের কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। তারপরও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এন্নাতলী গ্রামের একজন জানান, তিন সন্তানের জনক ফরহাদ ও ইয়াকুবের ঘটনায় এলাকার মানুষ প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে এলাকার লোকজন তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে। এলাকার জনগণ ও অভিভাবকদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া লম্পট শিক্ষক ফরহাদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেয়া কাগজ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। সে কাগজ উদ্ধার করতে পারলেই লম্পট শিক্ষকের আসল চরিত্র বেরিয়ে আসবে। স্বাক্ষর নেয়া কাগজের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবার শিক্ষক ফরহাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্থাফিজুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছে আমি এর কারন জানতে চেয়েছি। তিনি আমাকে এখনো কিছু জানায়নি। শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন, বিয়ে করার কথাটা মিথ্যা। আরেক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, এগুলো আমার কন্ঠ না। এ বলে শিক্ষক ফরহাদ সকল বিষয় এড়িয়ে যান।
সংবাদ প্রকাশের পর যা করেন ফরহাদ হোসেন চাঁদপুর কণ্ঠের সংবাদটিতে মেয়ের মায়ের দেওয়া একটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। মেয়ের মা তখন শিক্ষক ফরহাদের বিরুদ্ধে তার মেয়ের থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। সেই স্বাক্ষরকে জিম্মি করে হাজীগঞ্জে ডেকে নিয়ে মেয়ে ও মেয়ের মাকে জোর করে আরেকটি ভিডিও বক্তব্য আদায় করেন শিক্ষক ফরহাদ। সে ভিডিওতে চাঁদপুর কন্ঠের প্রতিবেদকের সাথে আগের বলা কথা মিথ্যা বলতে বাধ্য করেন। বিভিন্ন কূটকৌশলের মাধ্যমে চাঁদপুর কন্ঠের প্রতিবেদককে ফাঁসানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।