প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ২০:০৮
মতলব দক্ষিণে মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ৮ম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে রাতের আধারে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আহম্মেদ সরকার নামে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দারিন্দা রসুলপুর গ্রামে ঘটেছে। অভিযুক্ত আহম্মেদ সরকার ওই গ্রামের ব্যবসায়ী আবু সায়েদ সরকারের ছেলে।
|আরো খবর
জানা যায়, উপজেলার বাড়ৈগাঁও গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সাকিলে সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রী পরিবারের অগোচরে প্রেমিক সাকিলের সাথে দেখা করতে ঘর থেকে বের হলে ওৎঁ পেতে থাকা রসুলপুর গ্রামের আবু সায়েদ সরকারের বখাটে ছেলে আহম্মেদ সরকার ও একই এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন সরকারের ছেলে আব্দুর রহমান জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ওই ছাত্রীকে আহম্মেদ সরকারের বসত ঘরে নিয়ে যায়। পরে সহযোগী আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীর হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আহম্মেদ সরকার। ধর্ষণ শেষে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে ফেলে দিয়ে যায় ওই ছাত্রীকে। ঘটনার সময় বখাটে আহম্মেদ সরকারের বাবা-মা বাড়ি ছিলেন না।
এদিকে এ ঘটনা যেন কেউ না জানে তাই ধর্ষক আহম্মেদ সরকার ধর্ষিতা ছাত্রীকে হুমকি দিয়েছেন বলে জানান ছাত্রী।
এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বখাটে আহম্মেদ সরকারের পক্ষ নিয়ে এলাকার কিছু সংখ্যক গ্রাম্য সালিসগণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আহম্মেদ সরকার ও তার পরিবারের লোকজন চিকিৎসার নামে গাঁ ঢাকা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
ধর্ষিত ছাত্রী জানান, ঘটনার সময় আমি শাকিলের সাথে দেখা করতে বাড়ির পাশে গেলে ওরা শাকিলকে মারধর করে তার মোবাইল রেখে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমাকে জোরপূর্বক তাদের ঘরে নিয়ে নির্যাতন করে । ছাত্রীর মা জানান, এলাকার মাতাব্বররা বলেছে এ বিষয়টি যেন থানায় না জানাই। তারা বলেছে বাড়িতেই ঘটনার সমাধান করে দিবে।
এদিকে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত আহম্মেদ সরকারের মা জানান, আমার স্বামীকে নিয়ে কুমিল্লা হাসপাতালে আছি ছেলের ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট ।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছে। কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।