প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৫
ফরিদগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের ৫ বছরের কারাদন্ড
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মান্দারতলী গ্রামে ৮বছর বয়সী কন্যা শিশুকে নির্জন ঘরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মোঃ নাছির চৌকিদার (৩০) নামে যুবককে ৫ বছরের কারাদ-, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। রায় প্রদানকালে আসামী পলাতক ছিলেন। ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় দেন।
|আরো খবর
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর শনিবার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে উল্লেখিত যুবক বাড়ির উঠোন থেকে ওই শিশুকে খেলারত অবস্থায় ধরে নিয়ে নিজ বসত ঘরে মুখে ওড়না বেধে ধর্ষণ করে। পরে আবার উঠানে এনে ছেড়ে দেয়। ওই অবস্থায় শিশুটি কান্না করলে তার কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করেন। পরে শিশুটি তার মায়ের কাছে পুরো ঘটনার বিবরণ জানান। এই ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানান শিশুটির পরিবার। কিন্তু অভিযুক্ত নাছির ও তার পরিবার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে মানেননি। এরপর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট। তাকেও মানতে নারাজ অভিযুক্ত পরিবার। পরে ইউপি চেয়ারম্যান শিশুটির মাকে মামলা করার জন্য মৌখিক পরামর্শ দেন। এরপর শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণকারী নাছির, তার পিতা হানিফ চৌকিদার ও তার মাতা হেনজী বেগমকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩-এর ৯ (৪)/খ ধারায় ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, উল্লেখিত নাছির চৌকিদার এই ঘটনার পূর্বে একটি গাভীকেও বলাৎকার করে এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা দেয়। ধর্ষণের ঘটনায় তৎকালীন ‘দৈনিক চাঁদপুর’ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু আল মামুন ২০১১ সালের ৩০ মার্চ নাছিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলায় সরকার পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটির (পিপি) অ্যাডঃ সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ১১ বছর চলমান অবস্থায় ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলার সাক্ষ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযুক্তকে ৫ বছরের কারাদ- প্রদান করেন বিচারক।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটার (এপিপি) ছিলেন অ্যাডঃ খোরশেদ আলম শাওন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ ইলিয়াছ মানছুরি।