প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:২০
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আকবর পুলিশের সহায়তায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিপরীত দিক থেকে ছোড়া গুলিতে বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলি বিদ্ধ হয় সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন অবশেষে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। চাঁদপুরকণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত সংবাদে এগিয়ে আসেন চাঁদপুর পুলিশ সুপার।
|আরো খবর
তার নির্দেশে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনের একটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি হানিফ সরকার জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ আকবর হোসেনের চিকিৎসা হীনতার সংবাদ চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিবের নজরে আসে। তার নিদের্শে আমিসহ থানা পুলিশ আকবরের বাড়িতে গিয়ে তার বিষয়ে খবরাখবর নিয়ে চিকিৎসা বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনের একটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য আকবর হোসেন পাঠানো হয়।
আকবর হোসেনের মা ফেরদৌসী বেগম জানান, পুলিশ আমাদের বাড়িতে গিয়ে আকবরের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়। শনিবার সকালে আমাদের ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলেন। এসপি ও ওসির সহায়তায় আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাচ্ছি।
আকবর হোসেন জানান, আন্দোলনে পুলিশ গুলি করলেও আজ পুলিশই আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট সিলেটে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিপরীত দিক থেকে ছোড়া গুলিতে বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলি বিদ্ধ হয় সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন। সে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের দিনমজুর প্রতিবন্ধী রওশন আলী ও ফেরদৌসী বেগম দম্পতির ছেলে।
ওই সময়ে আহত অবস্থায় তাকে সিলেট সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত সে। বর্তমানে গত একমাস ধরে গুলির ক্ষত নিয়ে বাড়িতে বিছানায় পড়ে থাকলেও পঙ্গু বাবা ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।