শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:৪০

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আগুন আতঙ্কে হুলুস্থুল কাণ্ড!

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আগুন আতঙ্কে হুলুস্থুল কাণ্ড!

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে মোবাইলের চার্জার লাগানো অবস্থায় সকেট বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর তাতেই আগুন আতঙ্কে পুরো হাসপাতালে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে। বিদ্যুৎ সকেটের ভেতরে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। এতে আগুন আতঙ্কে হাসপাতালে থাকা রোগী ও স্বজনরা ছোটাছুটি শুরু করে এবং অনেক রোগীকে তাদের স্বজনরা ধরাধরি করে নিচে নামিয়ে আনেন। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের চতুর্থ তলার মহিলা (সার্জারি) ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা (সার্জারি) ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী নাসরিন ও রেখা জানান, হঠাৎ বিকট শব্দের সঙ্গে ধোঁয়া বের হলে ওয়ার্ডের সব রোগী দ্রুত বের হয়ে যান।

হাসপাতালের বারান্দায় ভাঙ্গা পা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার পায়ে অপারেশন হয়েছে। উপরে আগুন লাগছে শুনে স্বজনরা আমাকে ধরে বারান্দায় নিয়ে এসেছে। মহিলা (সার্জারি) ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স অঞ্জু বিশ^াস ও রেহানা বেগম জানান, কোথাও আগুন লাগেনি। রোগীদেরও কিছু হয়নি। তারা আতঙ্কে চিৎকার করতে করতে বের হয়ে গেছেন।

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের (উত্তর) পরিদর্শক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, মোবাইলের চার্জার লাগানো অবস্থায় সকেট বিস্ফোরিত হওয়ায় ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছে। কোনো ধরনের আগুন লাগেনি বা বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা রোগী ও স্বজনদের আতঙ্কিত না হয়ে নিজ নিজ বেডে যেতে বলেছি।

এর আগেও করোনাকালীন সময় এ রকম আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিলো। তখন রোগীরা চিৎকার করে হাসপাতাল বেড থেকে নিচে নেমে আসে।

কাছাকাছি সময়ে পর পর দু’বার বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে আগুন লাগার ঘটনা থেকে রোগী ও রোগীর স্বজনরা রক্ষা পেলো। কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুৎ সংযোগের সুইচ সকেটসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী মেরামতের উদ্যোগ নেয়া দরকার বলে সচেতন মহল মনে করেন। না হয় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়