শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৪৬

কবি বেগম সুফিয়া কামাল স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।।
কবি বেগম সুফিয়া কামাল স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা

প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবসমাজকে বইমুখী করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে প্যাপিরাস পাঠাগার। প্রতি সপ্তাহে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথিতযশা কবি ও প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব বেগম সুফিয়া কামালকে ঘিরে আবর্তিত ছিলো এবারের সাহিত্য আড্ডা। শুক্রবার (২১ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুর শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডস্থ চাঁদ টাওয়ারে অবস্থিত প্যাপিরাস পাঠাগার কার্যালয়ে কিংবদন্তি নারীবাদী লেখক বেগম সুফিয়া কামাল স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠাগারের উপদেষ্টা দিলীপ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে ও প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাড. শীতল চন্দ্র ঘোষ, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, শিক্ষক নেতা ও খেলাফত মজলিশের চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। কিংবদন্তি লেখক বেগম সুফিয়া কামালের ‘জীবন ও সাহিত্য’ সম্পর্কে আলোচনা করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাড. রফিকুজ্জামান রণি, উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহ আলম, উপ-সভাপতি ফেরারী প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য নাজমুল ইসলাম, আবদুর রব ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জাহেদুর রব জাহেদ, ভাসানী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম রাজিব, সাহিত্যানুরাগী আকবর হোসেন লিটন, মুন্না ও খাদিজা মুন্নী। কবিতা আবৃত্তি করেন রাইসা ইসলাম।

পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাড. রফিকুজ্জামান রণি বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন একজন আধুনিক শেরো নারী। নারী অগ্রযাত্রার জন্যে সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। সাহিত্যচর্চার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না তিনি। সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশের প্রতিটি সংকটকালীন মুহূর্তে। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেন অপরিসীম সাহস জুগিয়েছেন, স্বামীর উৎসাহ-উদ্দীপনা তাঁকে এগিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে।

‘সবুজ পাতার খামের ভেতর/হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে/ কোন পাথারের ওপার থেকে/ আনলো ডেকে হেমন্তকে' আমাদের অন্যতম ঋতু হেমন্তের পরিচয় এভাবেই তুলে ধরেছেন সুফিয়া কামাল তাঁর কবিতায়। অ্যাড. রনি বলেন, পরিতাপের বিষয়, কবি সুফিয়া কামালকে আমরা হেমন্তকালেই হারিয়েছি।

সভাপ্রধান দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, সাঁজের মায়া কাব্যের ভেতর দিয়ে সুফিয়া কামাল আমাদের অন্তরের মণিকোঠায় ঠাঁই পেয়েছেন। বেগম রোকেয়ার পরে এদেশের নারী জাগরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছেন কবি সুফিয়া কামাল।

অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি সুফিয়া কামালের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন বক্তারা। সব শেষে ফলচক্রের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, কবি সুফিয়া কামাল ২০ জুন ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম ছিলো সৈয়দা সুফিয়া বেগম। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫০টির অধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে একুশে পদক-১৯৭৬, স্বাধীনতা পুরস্কার-১৯৯৭ এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার-১৯৬২ উল্লেখযোগ্য। ২০ নভেম্বর ১৯৯৭ সালে ৮৮ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : সাঁজের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, উদাত্ত পৃথিবী, দিওয়ান, অভিযাত্রিক, মৃত্তিকার ঘ্রাণ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়