শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৫০

মতলব উত্তরে মা ইলিশ সংরক্ষণে সচেতনতামূলক সভা

আইন ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না

---- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

মাহবুব আলম লাভলু।।
আইন ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না
মতলব উত্তরে মা ইলিশ সংরক্ষণে সচেতনতামূলক সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ২ (সংশোধিত)-এর আওতায় ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর ২০২৫) মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের বাবুব বাজারের সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনির সভাপতিত্বে ও উপজেলা অফিসের অফিস সহকারী আরিফ হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ-পুলিশ, চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শওকত আহমেদ, সাংবাদিক বোরহানউদ্দিন ডালিম, মো. ফারুক হোসেন ও মৎস্যজীবী কমিটির সভাপতি ফুলচান বর্মন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাহিনী ২৪ ঘণ্টাই নদীতে টহলে থাকবে। আইন ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করবো। সকল বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং নিরবচ্ছিন্ন অভিযান চলবে। আইন অমান্য করলে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা হলে ভবিষ্যতে মাছের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ বেচাকেনা ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আজ যদি আমরা মা ইলিশ রক্ষা করি, আগামীতে নদীতে আরো বেশি মাছ পাওয়া যাবে এবং আপনারাই উপকৃত হবেন। সরকার ও প্রশাসন এই সময়ে আপনাদের পাশে থাকবে। আমরা সকলে প্রতিজ্ঞা করি, নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকবো।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মেঘনার অভয়াশ্রয় এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়কালে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। অভিযানের সময় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা, কারাদণ্ড ও জাল পোড়ানোর মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে জেলেরা উপকৃত হবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়