মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:০১

চরম দুর্ভোগ ও দুর্দশায় ঘটছে দুর্ঘটনা

শাহরাস্তিতে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক

চরম দুর্ভোগ ও দুর্দশায় ঘটছে দুর্ঘটনা

মো. মঈনুল ইসলাম কাজল।।
শাহরাস্তিতে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে চাঁদপুর-কুমিল্লা  আঞ্চলিক মহাসড়ক

চাঁদপুরের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগের সেতুবন্ধন হচ্ছে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম এ সড়কটি ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শাহরাস্তি উপজেলার অংশে সড়কটির মাঝখানে বড়ো বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ স্থানে রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু জায়গায় গর্ত ভরাটের কাজ করতে দেখা গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে মাঝেমধ্যে লোক দেখানো সংস্কার করতে দেখা গেলেও অল্প ক'দিনের মধ্যেই আবারো সড়কটি আগের রূপে ফিরে যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে সড়কটিতে এমন বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে পিচঢালা সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ইটের সলিং বসানো হয়েছে। তারপরও কোনো কাজে আসছে না।

এমন মৃত্যুকূপ সড়কে অল্পের জন্যে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে চিকিৎসক আরিফুল হাসান নিজেই সড়কে গর্ত ভরাটের কাজে নেমে পড়েন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশ ক'টি গর্ত ভরাট করেন তিনি। মেডি-ল্যাব হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. আরিফুল হাসান জানান, সড়কটিতে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি, ভাগ্যক্রমে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। পরদিন থেকেই বড়ো গর্তগুলো ভরাট করেছি। চাঁদপুর জেলা শহরসহ বেশ ক'টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক। স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী, অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন অফিসের অধিকাংশ চাকুরিজীবী প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। চাঁদপুরের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ সহজতর করতে এ সড়কে বেশ কয়েকটি পাবলিক পরিবহন ও বিআরটিসি বাস চলাচল করে থাকে। এছাড়া ট্রাক, প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশাসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল করে এ সড়কে।

চাঁদপুর জেলার প্রধান এ সড়কটির বেহাল দশা লাঘবে কর্তৃপক্ষের কোনো দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শাহরাস্তিবাসীসহ পুরো জেলাবাসী।

সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এই সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার মতো কি কেউ নেই? প্রতিদিন আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

চাঁদপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি জানান, সড়কটিতে যানবাহন দূরের কথা, মানুষ হাঁটতেও কষ্ট হয়। ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে, গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়েই পরিবহন সার্ভিস চালু রেখেছি। অন্যথায় বলবে আমরা অবরোধ করেছি। সড়ক বিভাগের সাথে কথা হয়েছে, তারা আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি দেখছি না।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আ. রহিম জানান, সড়কটি মেরামতের জন্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার পেলে কাজ শুরু হবে। তবে কবে ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়া যাবে নিশ্চিত করে তিনি বলতে পারেননি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়