সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:১৪

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা বিএনপির মতবিনিময়

সুন্দরভাবে পূজা উদযাপনে পাড়া-মহল্লায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ কাজ করবেন ---- শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

স্টাফ রিপোর্টার।।
সুন্দরভাবে  পূজা উদযাপনে পাড়া-মহল্লায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ কাজ করবেন  ---- শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

"সংখ্যালগু ও সংখ্যাগুরু নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশী” এ প্রতিপাদ্যের ওপর শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে জেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডস্থ মুনিরা ভবনের হলরুমে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ বছর দুর্গোৎসবটা একটু চ্যালেঞ্জিং। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন সুন্দরভাবে পূজা উদযাপনে আমরা যেন আপনাদের পাশাপাশি থাকি। আমরা চাঁদপুরে পূজা মণ্ডপগুলোকে দেখাশোনা করতে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব ভাগ করে দেবো। আর যে কোনো প্রয়োজনে আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

আপনারা আপনাদের আনন্দ ও উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করবেন। আপনারা পূজা করবেন, আর আমরা আপনাদের মণ্ডপগুলো পাহারা দেবো। সদর ও হাইমচরের মণ্ডপগুলোতে আমি যাওয়ার চেষ্টা করবো।

তিনি আরো বলেন, আজকে যে মতবিনিময়, এখানে কোনো রাজনীতি নেই। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমরা মসজিদ, মন্দিরে গিয়ে কোনো ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা সবাই বাংলাদেশী, এটাই আমাদের বড়ো পরিচয়। সুন্দরভাবে যেন পূজা উদযাপন করা যায় সেজন্যে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ কাজ করবে।

জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো : জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দুর্গা পূজা উপলক্ষে ৫ দিনের জন্যে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। কন্ট্রোল রুমে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবেন নেতৃবৃন্দ । কোনো স্থানে কিছু হলে কন্ট্রোল রুমে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূজা উপলক্ষে জেলা বিএনপির পরিদর্শন টিম গঠন করা হবে। সেই টিম বিভিন্ন উপজেলায় মণ্ডপ পরিদর্শন করবে। পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপন করতে হবে। দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো অবহেলা করা যাবে না।

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সিনিয়র সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক গোপাল সাহা, মিনার্ভা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রূপালী চম্পক, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, হাইমচর উপজেলা সভাপতি বিবেক লাল মজুমদার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সভাপতি লিটন চন্দ্র দাস, মতলব উত্তর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার সাহা, শাহরাস্তি উপজেলার সভাপতি নিখিল চন্দ্র মজুমদার, কচুয়া উপজেলার ফনী ভূষণ মজুমদার তাফু ও ঘোষপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির চন্দন কুমার ঘোষ।

পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের পূজা একটু কঠিন হবে। আমাদের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা, স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। আমরা স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে চাই। এ জন্যে পূর্বের ন্যায় এ বছরও বিএনপি আমাদের পাশে থাকবে বলে আশাবাদী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর চাঁদপুর জেলায় কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেনি, তাই জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে ধন্যবাদ জানান পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান, খলিলুর রহমান গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডি এম শাহাজাহান, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আক্তার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশীদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন বেপারী, মনিরা বেগম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক শরীফ উদ্দিন পলাশ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এ বছর চাঁদপুর জেলায় পূজা মণ্ডপ ২২৪টি। চাঁদপুর পৌর এলাকায় ৩৬টি, চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৬টি, হাইমচর উপজেলায় ৬টি, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২২টি, মতলব উত্তর উপজেলায় ৩৪টি, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৩৪টি, কচুয়া উপজেলায় ৩৮টি, শাহরাস্তি উপজেলায় ১৯টি ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় ২৯টি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়