শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ২০:১২

মতলব উত্তরে ৪ হাজার ৮শ' পশু কোরবানির জন্যে প্রস্তুত।। ঘাটতি ৩৯৮ কোরবানির হাট কাঁপাবে কালিয়া ও লালু সর্দার

মাহবুব আলম লাভলু
মতলব উত্তরে ৪ হাজার ৮শ' পশু কোরবানির জন্যে প্রস্তুত।। ঘাটতি ৩৯৮  কোরবানির হাট কাঁপাবে কালিয়া ও লালু সর্দার

মতলব উত্তর উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৪ হাজার ৮০২টি পশু কুরবানির জন্যে প্রস্তুত রয়েছে । এ উপজেলায় চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ৩৯৮টি।

কোরবানির হাটে আসছে ষাঁড় কালিয়া ও লালু সর্দার। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে স্থানীয় হাটবাজার থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া। এ দুটি ষাঁড় লালন পালন করছে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের খামার ‘এম এইচ বি এম এগ্রো’, যার কর্ণধার মেহেদী হাসান বাবু মিয়াজী। লাল রঙের ‘লালু সর্দার’ ও কালো রঙের ‘কালিয়া’ দুটিই হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। কালিয়া’র ওজন প্রায় ১৪ থেকে ১৫ মণ। এর দাম হাঁকা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ‘লালু সর্দারে’র ওজন প্রায় ১২ থেকে ১৩ মণ। গত কোরবানিতে এটি হাটে উঠলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা হয়নি। এবার তার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মালিক বাবু মিয়াজী জানান, আকাশছোঁয়া দাম চেয়ে লাভ নেই। আমি ফিক্সড দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। মতলব উত্তর উপজেলার ভেতরে কেউ কিনলে বাড়ি পর্যন্ত ফ্রি ডেলিভারি দিচ্ছি।

৯ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে মতলব উত্তরে পশুর বাজারে ভালো দামের আশায় ছোট-বড়-মাঝারি ও প্রান্তিক খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শেষ সময়ে কোরবানির জন্যে প্রস্তুত করা পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ছোট-বড় মিলে ২৬২ জন খামারি রয়েছেন। এছাড়া গৃহস্থরা নিজ বাড়িতেও গরু-ছাগল পালন করছেন। আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ষাঁড় ২ হাজার ৭০টি, বলদ ৯১০টি, গাভী ৬৯৪টি, মহিষ ৬টি, ছাগল ৯৩০টি ও ভেড়া ১১৭টি এবং অন্যান্য ৭৫টিসহ মোটি ৪ হাজার ৮০২টি পশু প্রস্তুত রয়েছে।

এ উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৫ হাজার ২০০ টি। প্রস্তুত রয়েছে ৪ হাজার ৮০২টি। কোরবানির চাহিদা মিটাতে উপজেলার ৩৯৮টি পশুর ঘাটতি রয়েছে ।

স্থানীয় খামারিরা জানান, কোরবানির জন্যে আমাদের খামারে দেশী বিদেশীসহ বিভিন্ন জাতের গরু প্রস্তুত করেছি। এগুলো স্থানীয়ভাবে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি । তবে এ বছর খৈল, গমের ভুষি ও খড়সহ অন্যান্য পশু খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে গরু পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আশানুরূপ দাম পেলে লাভবান হওয়ার আশা করছি। আর যদি ভারতীয় গরু আসে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, এ বছর আমরা কোরবানি প্রস্তুত করার জন্যে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছি। আমাদের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে গৃহস্থ ও খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় দু শতাধিক কোরবানির পশুর হাট বসবে। চাহিদার আলোকে কোনো ধরনের পশুই সংকট হবে না। কারণ কোরবানির হাটে অন্য জেলা ও উপজেলার পশু আসলে চাহিদা মিটে যায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়