সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ২১:১৪

দেশশ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক কাজী বজলুল হকের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
দেশশ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক কাজী বজলুল হকের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

সোমবার (২৬ মে ২০২৫) দেশের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হাজীগঞ্জের কৃতী সন্তান কাজী বজলুল হকের ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের ২৪ মে শুক্রবার টোরাগড় কাজী বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। আহত হয়ে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ মে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

চাঁদপুর জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সবচে' সফল প্রধান শিক্ষক হিসেবে খ্যাতি ও স্বীকৃতি অর্জনকারী কাজী বজলুল হক মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত হাজীগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের পদে আসীন ছিলেন। তাঁর শিক্ষকতা জীবনের প্রায় ৩০ বছর সময় কেটেছে একই প্রতিষ্ঠানে। তিনি ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি পালিশারা হাইস্কুল, আশ্রাফপুর হাইস্কুল, লাকসাম হাইস্কুল ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার খিলমঙ্গল হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি হাজীগঞ্জ পাইলট হাইস্কুলে যোগদান করার পর এ বিদ্যালয়টির সার্বিক চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রতি বছর জুনিয়র বৃত্তি ও এসএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্থান লাভের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর শিক্ষকতায় জাদুকরি দক্ষতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম হন। এজন্যে তিনি উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বহুবার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুরস্কৃত হন। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি

দেশের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের স্বীকৃতি স্বরূপ স্বর্ণপদক ও সনদপ্রাপ্ত হন। এজন্যে তাঁকে হাজীগঞ্জে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

১৯৩৮ সালের ৩০ অক্টোবর কাজী বজলুল হক হাজীগঞ্জ উপজেলার পালিশারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় তিনি পূর্ব পাকিস্তানে মেধা তালিকায় ৩য় স্থান লাভ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ১৯৫৭ সালে ইংরেজি সাহিত্যে ২য় শ্রেণিতে বিএ পাস করেন। '৬২ সালে বিএড-এ প্রথম শ্রেণি লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে সফল এ শিক্ষাবিদ পারিবারিক জীবনেও ছিলেন সফল। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে, ১ মেয়ে রেখে যান। পরবর্তীতে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র মাজহারুল হক সোহাগ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর মেজো ছেলে ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)। বড়ো ছেলে কাজী আনোয়ারুল হক হেলাল ১ম শ্রেণির ঠিকাদার ও বড় পুত্রবধূ ফাতেমা আক্তার রুবী হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক এবং ৪র্থ ছেলে কাজী মাহবুবুল আলম সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব। একমাত্র মেয়ে প্রফেসর তানজিনা ফেরদৌস ঢাকা সরকারি বিজ্ঞান কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে কর্মরত।

কাজী বজলুল হকের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কাজী বজলুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এবার একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়