প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ২২:৩৭
জেলা প্রশাসনের নজরুল জয়ন্তী উদযাপন
আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ

'চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান, কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার'। সময়োপযোগী এই প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।
|আরো খবর
রোববার (২৫ মে ২০২৫) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম কেবল একজন কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিদ্রোহের প্রতীক, মানবতার কণ্ঠস্বর। তাঁর কবিতা, গান ও প্রবন্ধে আমরা দেখি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের জন্যে তাঁর অসীম ভালোবাসা। তিনি যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, তা কেবল শাসকের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়, অসাম্য আর শোষণের বিরুদ্ধেও ছিলো। নজরুলের সাহসিকতা, মানবিকতা এবং শিল্পচেতনা আজও আমাদের পথ দেখায়। নতুন প্রজন্মের উচিত তাঁর সাহিত্য পাঠ করে তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হওয়া।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, যিনি নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সংগ্রামী ভূমিকার তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ ইকবালের সঞ্চালনায় অন্যান্য আলোচকের মধ্যে ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অমর চন্দ্র দাস ও সহকারী অধ্যাপক শরীফ মাহমুদ চিশতী।
স্মারক বক্তা হিসেবে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত। তিনি বলেন, নজরুল শুধু কবি নন, তিনি ছিলেন এক দ্রোহের আগুন, যিনি শব্দের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার দিতি সাহা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কবি ও নাট্যকার মঈনুদ্দিন লিটন ভূঁইয়া ও প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন শরীফ চৌধুরী।
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নজরুল সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যনাট্যের এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
রংতুলি সাংস্কৃতিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন শিশু ও স্বরলিপি নাট্যদলের সভাপতি এম আর ইসলাম বাবুর যৌথ পরিচালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নজরুল চেতনায় সমৃদ্ধ পরিবেশ উপহার দেয়।
এ সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।