শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

প্রথম দিনেই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস (ভিডিও দেখুন)

অনলাইন ডেস্ক

মেঘনা পাড়ের বাতিঘর বলে খ্যাত চাঁদপুর সরকারি কলেজে দীর্ঘ ৫৪৩ দিন সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল নয়টায় উৎসবমুখর পরিবেশে উচ্চমাধ্যমিকের শ্রেণি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

সরকারের উনিশ দফা নির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাঁদপুর সরকারি কলেজে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শুধুমাত্র রাজু ভবনে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করা হয়। দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এ তিনটি শাখার শিক্ষার্থীদেরকে আটটি গ্রুপে বিভক্ত করে সকাল নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পর বেলা সাড়ে এগারটায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা এ তিনটি শাখাকেও দশটি গ্রুপে বিভক্ত করে বেলা সাড়ে এগারটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকে। সকল শিক্ষার্থীর আসন বিন্যাস ছিলো জেড টাইপ।

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশের আমন্ত্রণে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সকাল সাড়ে আটটায় কলেজ ক্যাম্পাসে এসে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে শ্রেণি কার্যক্রমের প্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখে তিনি প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে।

অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করেন। একাদশ বিজ্ঞান শাখায় ১৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫৪ জন শিক্ষার্থী, মানবিক শাখায় ১৪১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৬ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো। একাদশ শাখায় মোট উপস্থিতির হার ৭৭ শতাংশ। দ্বাদশ শ্রেণিতে ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো। বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউটস্-এর সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে কলেজ প্রশাসনকে সহযোগিতা করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়