প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৫৪
জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
আমরা চাই জেলে সম্প্রদায় ভালো থাকুক : জেলা প্রশাসক
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জেলেদের মাঝে বিতরণকালে বলেন, আজকে জেলেদের জন্য আমাদের ত্রাণ বিতরণ আয়োজন করা হয়েছে। আমরা চাই জেলে সম্প্রদায় ভালো থাকুক। আজকে যদি চাঁদপুরের নদী ও ইলিশ মাছ বাঁচিয়ে রাখতে পারি, তাহলে চাঁদপুরের ইলিশ সম্পদের উন্নতি হবে। আর সে সাথে চাঁদপুরের নদীগুলির প্রবাহমান ধরে রাখতে না পারি, এ ইলিশ সম্পদ আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে। যাদের মাধ্যমে আমরা ইলিশ মাছকে বাঁচিয়ে রাখব।
|আরো খবর
তিনি আরো বলেন, জেলেদের বুঝতে হবে, জানতে হবে এবং আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। যাতে কেউ আপনাদের ক্ষতি করতে না পারে। কাজেই ইলিশের ক্ষতি হলে আপনাদেরও ক্ষতি হবে। জাটকা ও মা ইলিশকে রক্ষা করা করতে পারি, তাহলেই আমাদের জীবন এবং জীবিকার কোনো ক্ষতি সাধন হবে না। কিন্তু জেলেদের হাতে যদি জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা না পায়, তাহলেতো আপনাদের জীবন-জীবিকায় বেশি ক্ষতি হবে।
২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে চাঁদপুর স্টেডিয়াম প্যাভিলয়নে জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ-এর প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, জেলা জাতীয় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান ।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন, সহকারী কমিশনার মোঃ উজ্জল হোসেন, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য, জেলা জাতীয় মৎসজীবী শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম মল্লিক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও ইলেকট্রিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, যখন নদীতে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলে, তখন এ মাছ রক্ষা করতে হবে। তাহলে ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। আর যখন মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযান থাকে ওই সময়ে জাতে জেলেরা অন্য পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। সেজন্য জেলেদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই জেলেরা যে আটক না হয় এবং তাদের যেন কোন কর্মের অভাব না থাকে। সেজন্য জেলেদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব। যখন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকে তখন যদি জেলেরা মাছ ধরতে যায় তাদের আইনের আওতায় পড়তে হয়। তখন যাতে জেলেদের মাছ ধরতে না হয়। সেজন্য আমরা ভাবছি তাদের একাউন্টে টাকা দেওয়া যায় কিনা যাতে তারা চাল-ডালসহ প্রয়োজন জিনিস কিনতে পারেন। নদীতে ইলিশের চাহিদা বাড়াতে হলে জেলেদের জীবন মান নিয়ে ভাবতে হবে। তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং নদীতে মাছ ধরার ঘেপে জেলেদের অন্য জীবিকা অর্জন করার সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলেই ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।