শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ২২:০৫

অভিনন্দন দু’জনের জন্যই শুভকামনা

মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল
অভিনন্দন দু’জনের জন্যই শুভকামনা

সদ্য সমাপ্ত হওয়া শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয়ী ও বিজিত দুজনকেই অভিনন্দন জানাই। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের পরিচিত মুখ না হয়েও সফল ব্যবসায়ী হিসেবে স্বীকৃত মকবুল হোসেন পাটোয়ারী ও ওমর ফারুক রুমি বিগত কয়েকটি মাস আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই কিন্তু জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো অনেকেরই সম্ভব হয়ে ওঠে না। বর্তমানে বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জনের ঘোষণার মধ্যে ২৮.৬০ ভাগ ভোটারকে কেন্দ্রমুখী করা তাদের পক্ষে সহজ কাজ ছিলো না। পাশাপাশি বিভিন্ন দলের নেতাদেরকেও সরাসরি নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। দুজনের জন্যেই ছিল নানান প্রতিবন্ধকতা। উপজেলা পর্যায়ের এই প্রধান পদটির আসনে বসা তাদের জন্যে সহজ কাজ ছিলো না। নানামুখী প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সমানতালে ভোটযুদ্ধে লড়েছেন তারা। এ নির্বাচন নিয়ে ছিলো বহুমুখী জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়েছে প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের সম্পূর্ণ কৃতিত্বের দাবিদার সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। ২১ মে সন্ধ্যায় শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের নতুন অভিভাবক পেল শাহরাস্তিবাসী। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১০৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন পাটোয়ারী। সেই নির্বাচনে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। এবারের নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তিনি বলতে গেলে একাই লড়েছেন নির্বাচনী মাঠে। তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে না আসলেও পর্দার আড়ালে থেকে তার পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। তবে প্রকাশ্যে বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন তিনি একাই। নির্বাচনে কর্মী সঙ্কট থাকলেও ভোটার সঙ্কট ছিলো না তার। রাজনৈতিকভাবে কোনো পদ-পদবী না থাকলেও জনগণের সমর্থন আদায়ে কমতি ছিলো না তার।

অন্যদিকে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আলোচনায় আসেন ওমর ফারুক রুমি। প্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসায়ী গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় আসেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি শাহারাস্তি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তরুণ এই ব্যবসায়ী অল্প সময়েই জনগণমন জয় করতে সমর্থ হয়েছেন। নির্বাচনে পরাজিত হলেও তিনি জনগণের কাছে পরাজিত হননি এমনটাই মনে করেন উপজেলাবাসী। তার পক্ষে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী থাকলেও মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। অনেকেই বলছেন রুমির সমর্থিত কর্মীরা ফেসবুকিং ও শোডাউনের ব্যস্ত ছিল, ঘরে ঘরে নির্বাচনী প্রচারণা তেমনটা দেখা যায়নি। যার ফলে পরাজয়বরণ করতে হয় তাকে। ফলাফল যাই হোক, রুমি জনগণের মাঝে তার বার্তা পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। আগামীতে জনগণের সাথে এ সম্পর্ক অটুট রাখলে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে দেখা যেতে পারে।

দু’জনের জন্যেই শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। আগামীতে জনগণের পাশে থেকে জনগণের কল্যাণে তারা নিজেকে নিয়োজিত রাখবে এটাই শাহরাস্তি বাসির প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়