শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৫২

এবার ২২ দিনের ইলিশ অভিযানে ৩৭৪ জেলের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
এবার ২২ দিনের ইলিশ অভিযানে  ৩৭৪ জেলের কারাদণ্ড

চাঁদপুর পদ্মা- মেঘনা নদীতে এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৭৪ ইলিশ জেলের কারাদণ্ড হয়েছে। খুইয়েছেন জাল ও নৌকা।

১২ অক্টোবর শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গেল ২ নভেম্বর। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় এখন মাছ ধরছে জেলেরা। আটক জেলেরা আছেন কারাগারে।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় দেওয়া চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ২২ দিনের অভিযানে আটক এসব জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় জেলা উপজেলা টাস্কফোর্সের মোবাইল কোর্ট। 

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগের এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) থেকে অভয়াশ্রম এলাকাগুলোতে মাছ ধরতে পারছেন জেলেরা। 

১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলায় টাস্কফোর্স অভিযান ৫৪৬টি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে আটক ৩৭৪ জেলেকে ৮৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় এবং মামলা হয় ৪১৬টি। কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় ২৪ লাখ ৮৯৫ মিটার।

এছাড়া ২৪টি  মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছঘাট ৩৭০, আড়ত ২০৬৮ ও বাজার এলাকায় ৮৯২ বার পরিদর্শন করেছে টাস্কফোর্স। 

অভিযানে জেলেদের কাছ থেকে জব্দ হয়েছে ২ দশমিক ২৯৮ মেট্রিক টন ইলিশ। আটক জেলেদের কাছ থেকে মৎস্য আইনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩২ টাকা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা ইলিশ নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। অভিযানে মৎস্য বিভাগকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও কোস্টগার্ড সার্বিক সহযোগিতা করেছে। আমরা ইলিশ ধরা থেকে বিরত জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দিয়েছি। তাদের সচেতন করেছি। কারণ এসব ইলিশ ডিম ছাড়লে এবং বড় হলে তারাই ধরে লাভবান হবে। তারপরেও যারা আইন অমান্য করে মা ইলিশ ধরেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়