শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০০

হাজীগঞ্জ প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়

একাডেমিক ভবনে বসতি গড়েছেন হিসাব রক্ষক ও নৈশ প্রহরী

কামরুজ্জামান টুটুল।।
একাডেমিক ভবনে বসতি গড়েছেন হিসাব রক্ষক ও নৈশ প্রহরী
হাজীগঞ্জের প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যলয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে নির্মিত এ ভবনে বসবাস করছেন রিতা আক্তার ও সাদ্দাম হোসেন। ছবি : চাঁদপুর কণ্ঠ।

বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৩য় তলায় বিলাসী বসতি গড়ে বসবাস করছেন বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষক আর নৈশ প্রহরী। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ভবনটি নির্মিত হলেও এটি এখন এদের বসতি হয়ে উঠেছে। রেজুলেশনের মাধ্যমে বসবাস করার অনুমতি পেয়েছেন বলে দাবি করেন হিসাব রক্ষক রিতা আক্তার ও নৈশ প্রহরী সাদ্দাম হোসেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হবার পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরে এ বিদ্যালয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ভবনটি নির্মাণ করে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এটি মূলত দুর্যোগকালীন আশ্রয়ন কেন্দ্র কাম একাডেমিক ভবনের জন্যে নির্মিত হয়। এদিকে এর ৩য় তলার পুরো তিনটি রুমকে বসতি হিসেবে গড়ে তুলেছেন বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষক রিতা আক্তার আর নৈশ প্রহরী সাদ্দাম হোসেন। তবে ভবনে এভাবে বসতি গড়া সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত।

সরজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবনটির নিচতলার সিঁড়ির পূর্ব পাশের একটি কক্ষ ও তৃতীয় তলায় পুরো ফ্লোরের বিশাল আকৃতির ৩টি কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব রক্ষক রিতা আক্তার ও নৈশ্য প্রহরী সাদ্দাম হোসেন বসবাস করছেন। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি জেনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় ও উপজেলার শীর্ষ এক নেতার নিকটাত্মীয় রিতা আক্তার। প্রধান শিক্ষকের কক্ষেই রিতা উচ্চ স্বরে চেঁচামেচি শুরু করে দেন। সাদ্দাম হোসেন বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও বিদ্যালয়ের পাশেই তার একটি কনফেকশনারী রয়েছে। কথিত আছে, তিনি সেখানেই বেশি সময় দেন। সাদ্দাম হোসেন পরিবার নিয়ে বিদ্যালয়ের বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ভবনে থাকেন। তবে রিক্তা আক্তার রেজুলেশনের মাধ্যমে ভবনে বসবাস করে আসছেন বলে তিনি দাবি করছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন বলেন, পূর্বের কমিটি রেজুলেশন করে তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র ভবনে বসবাস করার বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এ বিষয়টির জন্যে প্রধান শিক্ষককে লিখিত জবাব দেয়ার কথা বলেছি। তিনি আসছে সোমবারের মধ্যে জানাবেন, এরপর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়