শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৫৫

মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের খুঁজে পরিবারের হাতে তুলে দেন পুলিশ কনস্টেবল

জয়নাব
মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের খুঁজে পরিবারের হাতে তুলে দেন পুলিশ কনস্টেবল

মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের খুঁজে পরিবারের হাতে তুলে দেন পুলিশে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিক। এ পর্যন্ত তিনি ২২ জন অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন পুরুষ ও মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে তাদের অভিভাবকদের নিকট হস্থান্তর করে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে কক্সবাজারে ৯ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন, নোয়াখালীতে ১ জন, লক্ষ্মীপুরে ৪ জন ও চাঁদপুরে ৫ জন ভারসাম্যহীন পুরুষ ও মহিলাকে উদ্ধার করে অভিভাবকদের নিকট হস্থান্তর করেন। সর্বশেষ চাঁদপুর আদালত প্রাঙ্গণে অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে এক পুরষকে দীর্ঘদিন যাবৎ অবস্থান করতে দেখে গত ৩০ জুলাই তাকে আদালত চত্ত্বর হতে উদ্ধার করেন। পরে তিনি নিজ হাতে দাঁড়ি, চুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নতুন জামা কাপড় পরিধান করিয়ে চিকিৎসার জন্য অর্পণ করেন চাঁদপুরের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে। সেখানে নিজের বেতনের টাকার কিছু অংশ দিয়ে ভর্তি করে তার চিকিৎসার ব্যয়ও বহন করেন তিনি। পরে গত ৩ আগস্ট আবুল হোসেন মানিক নিজের ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অজ্ঞাতনামা ভবঘুরের পরিবারের সন্ধানে প্রচরাণা চালান। সবশেষে গত ৭ আগস্ট ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হন ওই ভারসাম্যহীন পুরুষ মোঃ টিপু (২৮)। তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার পুরাতন চৌধুরী পাড়ার মোঃ ছবির মিয়া ও নাসিমা খাতুনের সন্তান। এটি নিশ্চিত হলে টিপুর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের চাঁদপুর আসার জন্যে বলা হয়। পরে মানসিক ভারসাম্যহীন মোঃ টিপুকে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়। এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

বর্তমানে চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিক বলেন, এটা আমার পেশাগত দায়িত্বের ভেতর না পড়লেও মানবিক দায়িত্বে পরে। এজন্যে আমি যেখানে কাজ করেছি, এমন ব্যক্তিদের খুঁজে পেয়ে চেষ্টা করেছি তাদের পরিবারের কাছে তুলে দিতে। এতে আমার আর্থিক কিছুটা ক্ষতি হলেও মানসিক প্রশান্তি মিলেছে। এভাবে আমি আমার চাকুরি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মানসিক ভারসাম্যহীন, দুঃস্থ, এতিম, গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে সবসময় দাঁড়াতে চাই।

পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিক তার নিজ দায়িত্বে এই মহৎ কাজটি করায় পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এ ধরণের মানবিক কাজ যেন শুধু চাঁদপুরে নয়, সবজেলার সব পুলিশ চাইলেই করতে পারেন প্রতিনিয়ত। এজন্যে আমরা কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিকের প্রতি কৃতজ্ঞ।

পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিক লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার রোকনপুর গ্রামের রুহুল আমিন ও নূরজাহান দম্পত্তির ছেলে। তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়