প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৪৫
মতলব উত্তর উপজেলার সিপাই কান্দি গ্রামে আবারও ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গন
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সিপাই কান্দি মরহুম চাঁদ মিয়া মেম্বার সাহেবের বাড়ির জামে মসজিদের সামনে আবার ও ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছ।
সরেজমিনের জানা যায়, অতিতে ঐ গ্রাম টি ধনাগোদা রাক্ষুসে নদীর ভাঙ্গনে লন্ড বন্ড করে দিয়েছে। বিগত দিনে প্রায় দুই শতাধিক বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় দুই / তিনশত একর আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যায়। আরও বিলীন হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২/৩ টি মসজিদ।
এ নদী ভাঙ্গন রোদ করার জন্য গ্রাম বাসি মাওলানা মোহাদ্দেস এনে দোয়া দরুদপাঠ, মিলাদ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
২০০৭/২০০৮ সালে আল্লাহর অশেষ রহমত হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃ পক্ষের নিকট। ঐ সময় যমুনা মেঘনা রিভার ইরোশন মিটিগেশন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ নদী ভাঙ্গন রোদে বড় আকারের ব্লক ও জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নদীর তীর বর্তী এলাকায় নিক্ষেপ করে নদী ভাঙ্গন রোদ করে। বাকী অংশ সিপাই কান্দি গ্রামের আংশিক ও ঠেটালীয়া গ্রামের নদীর তীর বর্তী এলাকায় বড় আকারের বালি বর্তী জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নিক্ষেপ হয়।
এখানে ২০১৯ /২০ ও ২০২০/২১ অর্থ বছরে চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড নুরুল আমিন রুহুল এমপির নির্দেশ ক্রমে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার ব্যবস্হা গ্রহণ করেন। গত ৫ এপ্রিল সকালে হঠাৎ করে সিপাই কান্দি মরহুম চাঁদ মিয়া মেম্বার সাহেবের বাড়ির জামে মসজিদের সামনে প্রায় ১০০ ফুট জায়গা নদীতে দেবে যায়। এখানে ব্লক ও জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করা ছিল।
তাৎক্ষণিক মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসানকে অবগত করা হলে নদী ভাঙ্গন রোদে ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
অতি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড মোঃ নুরুল আমিন রুহুল এমপির কাছে জোর দাবি জানান এলাকা বাসি।