শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯:৩১

চাঁদপুরে মদিনা শপিং মার্কেটে কসমেটিক্স দোকানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুরে মদিনা শপিং মার্কেটে কসমেটিক্স দোকানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে ১টি কসমেটিক্স দোকানে ১ নারী ও তার স্বামীসহ সহযোগিরা হামলা ভাংচুর করে দোকানে ক্যাশ থেকে টাকা লুটের ঘটনা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে শহরের কালীবাড়ি মন্দির বিপরীত মদিনা শপিং কমপ্লেক্সের কসমেটিকস ওয়ার্ল্ড নামক দোকানে এ হামলা ও ভাংচুর করা হয়।

জানা যায়, ঝোড়ো গতিতে এসে রহিমা বেগম ও তার স্বামী মফিজ উদ্দিন সরকার কসমেটিক্স দোকানে ঢুকে ১টি টি-টেবিল তুলে কাঁচের গ্লাসগুলোতে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ভাঙচুর ও দোকানের মালামাল তছনছ করে। এর পরপরই অকথ্য ভাষায় দোকানের স্টাফদের গালাগাল করতে করতে তিনি দলবলসহ তার তান্ডব লীলা শুরু করেন।

খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই শহীদুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই শহিদুল্লাহ বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরে উভয় পক্ষকে দ্রুত থানায় দোকানের কাগজপত্রসহ আসতে বলেছি।

দোকানটি পরিচালনাকারী ব্যবসায়ী মোঃ সাদিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এটা নতুন দোকান হওয়ায় দোকান ভাড়া নেওয়ার জন্য দোকানের মালিককে দেয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা এনে ক্যাশে রাখি। দোকানে ভাঙ্গচুর চালিয়ে ওই মহিলা স্টাফদের গালাগাল করে ওই টাকা নিয়ে গেছেন। আমি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিচ্ছি।

দোকানের মালিক জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ হাসান লিটন বলেন, এই দোকান পারিবারিক সূত্রে আমরা মালিক। হোসেন ক্লথ নামে আমাদের প্রতিষ্ঠান ছিল। রহিমা নামের ওই মহিলা এই দোকানের মালিকানা দাবী করে এই নগ্ন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে দোকানের ক্যাশে আমাকে দেয়ার জন্য আনা নগদ ১০ লক্ষ টাকা তিনি ছিনিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও দোকানের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতিসাধন করেছেন। তার সাথে তার স্বামী মফিজ ও তাদের লোকজন এই হামলার সাথে জড়িত। আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য এবং পুলিশ বিভাগকে বিষয়টি অবগত করে সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি।

এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রহিমা বেগমের বক্তব্য নিতে তার বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে যেতে বললে তাৎক্ষনিক সেখানে গিয়েও পাওয়া যায়নি।এরপর বেশ কয়েকবার তাকে ফোন করলেও তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বক্তব্য দিতে টালবাহানা করে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়