প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫০
হাজীগঞ্জে অর্ধ-শত বছরের পথ বন্ধ করে বসতঘর নির্মাণ !
কমপক্ষে অর্ধশত বছরের চলাচলের পথ, করবস্থান ব্যবহারের পথে টিনের বেড়াসহ বসতঘর তৈরি করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে একটি পক্ষ। এ ঘটনায় অপর একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার প্রতিকার ছেয়ে আদালতের দারস্থ হলে আদালত পথ ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সেই অনুমতিকে গ্রাহ্য না করেই পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে যে দাগ নিয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছে সেই দাগে কোন সম্পত্তি নেই দাবী করেন অভিযুক্ত মীর হোসেন।
|আরো খবর
ঘটনাটি হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহরা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আমিন বিএসসি বাড়িতে। এ দিকে পথ বন্ধ করে দেবার বিষয়টি নিয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল আজিজ রোববার সরেজমিন পরিদর্শন করেন
খোঁজ নিয়ে গেছে, ঐ ইউনিয়নের ৯৪ নং নাটেহরা মৌজার বিএস ৬১৬নং খতিয়ানে বিএস ১৪১৭ দাগে .৪৩ শতক, বিএস ১৪১৭ দাগে .২৮ একর ও বিএস ১৪১০ দাগে .০৭ এক একুনে মোট .৭৮ একর ভ‚মিতে দীর্ঘ ৫৪ বছরের চলাচল ও কবরস্থানে যাওয়ার পথ বন্ধ করে বসতঘর নির্মাণ করছেন একই বাড়ির মৃত আলী আশ্রাফের ছেলে মো. মীর হোসেন, মো. জামাল হোসেন ও মো. কামাল হোসেন।
বিষয়টি নিয়ে গত বছর আদালতে ফৌ. কা. বিধির ১৪৫ ধারায় অভিযোগ (নং- ৮৪৭/২০২১) করেন একই বাড়ির মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আমিন বিএসসি। আদালত উভয়পক্ষের কৌশলীর বক্তব্য শুনে এবং হাজীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর প্রতিবেদন পর্যালচনা করে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে চলাচলের পথ (রাস্তা) উন্মুক্ত রাখা এবং মামলাটি নথিজাত করার নির্দেশনা প্রদান করে।
এ বিষয়ে বাদী মো. নুরুল ইসলাম বিএসসি চাঁদদপুর কন্ঠকে বলেন, ঐ বাড়িতে আামরা ৫৪ বছর ধরে বসবাস করছি। তার পূর্ব থেকেই আমাদের ও পাশ্ববর্তী হিন্দু বাড়ির কয়েকটি পরিবার এবং এলাকার লোকজনসহ এই পথ দিয়ে চলাচল করছে। গত বছর বিবাদীরা বসতঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে ওই পথে মাটি দ্বারা ভরাট করেন। বিষয়টি নিয়ে আমি আদালতের দ্বারস্থ হই।
তিনি বলেন, এরপর আদালত চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখার নির্দেশনা দেন। কিন্তু বিবাদীরা সেই নির্দেশনা অমান্য করে চলাচলের পথে বসতঘর নির্মাণ ও টিনের বেড়া দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। এতে করে চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের চলাচলের পথ এবং কবরস্থানে আসা-যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
বিবাদী মো. মীর হোসেন বলেন, যে দাগের উপর অভিযোগ দিয়েছেন, সে অভিযোগের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কারণ, ১৪১৭ দাগ সম্পূর্ণ উন্মুক্ত আছে এবং ১৪১০ দাগে আমার কোন মালিকানা নেই। বর্তমানে আমি ১৪১৯ দাগে বসতঘর নির্মাণ করছি।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিবাদী পক্ষকে আদালতের রায় মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছি। যদি তারা নির্দেশনা অমান্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।