প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
দেখতে দেখতে চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব পার করে এক যুগ। তারপর সম্পন্ন করলাম ১৩তম উৎসব। এবার আয়োজন করতে যাচ্ছি ১৪তম জাতীয় ইলিশ উৎসব চাঁদপুর-২০২২। ‘জেগে উঠো মাটির টানে’ শ্লোগানটির পরিবর্তন করে এবার নূতন শ্লোগান নির্ধারণ করেছি ‘জাটকা ও মা ইলিশের পাশে/আমরা আছি প্রতিটি নিঃশ্বাসে’। এবার উৎসবটির আঙ্গিকও পরিবর্তন করেছি। স্থানীয় আঙ্গিক থেকে উৎসবটিকে আমরা বহু আগেই জাতীয় আঙ্গিকে নিতে পেরেছি বলে আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। এবার সে আত্মবিশ্বাসের সরাসরি প্রতিফলন ঘটিয়েছি উৎসবের আগে জাতীয় শব্দটি সংযোজন করে। আমাদের দেশে চতুরঙ্গের চাইতে ছোট কলেবরের সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে উৎসব আয়োজন করে পাশর্^বর্তী দেশের কিছু অতিথির উপস্থিতি নিশ্চিত করে যখন সেই উৎসবকে আন্তর্জাতিক নাম দেয়ার সাহস দেখায়, তখন আমরা পাশর্^বর্তী দেশের অতিথিদের উপস্থিতি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানের খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি নিশ্চিত করা সত্ত্বেও উৎসবটির জাতীয় উৎসব নামকরণে পিছিয়ে থাকাটা হীনমন্যতার পরিচায়ক। আমরা এবার স্পন্সর ছাড়াই উৎসবটিকে জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন পালন করার সাহসিকতা দেখালাম। আমরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও বেসরকারি স্পন্সর পেলে ভবিষ্যতে উৎসবটিকে আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপদানের প্রয়াস চালাবো ইনশাআল্লাহ।
আমাদের বিশ্বাস, চতুরঙ্গ সংস্কৃতিমনস্ক ও সংস্কৃতিসেবী চাঁদপুরবাসীকে নিয়ে ইলিশ উৎসবকে আন্তর্জাতিকতায় উপনীত করতে বেগ পেতে হবে না।
-হারুন আল রশীদ, মহাসচিব, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ইলিশ উৎসবের রূপকার।