প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
নাতির নিরাপত্তা চেয়ে দাদির দৌড়ঝাঁপ বন্ধ নেই। ছেলের অবর্তমানে দাদিই নাতির জন্যে আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫নং চাঁদপুর সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী ছালেহা বেগম। ছালেহা বেগমের ছেলে সুমন ওমান প্রবাসী। সুমনকে বেশ ক’বছর আগে বিয়ে দেন হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীরের মেয়ে মানছুরা আক্তারের সাথে। সুমন-মানছুরা দম্পতির ঘরে মাহিন নামের পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। এরই মধ্যে মাহিনের বয়স ২ বছর হলে মানছুরা তার প্রবাসী স্বামী সুমনকে তালাক দেয়। এ সময় সুমন প্রবাসে থাকা সত্ত্বেও মানছুরার সকল দাবি-দাওয়া পূরণ করে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী তালাকনামা সম্পন্ন হয়। সেই তালাকনামা প্রদানের সময় মানছুরা নিজে একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন। সেই অঙ্গীকারনামার ৩নং শর্তে উল্লেখ করা হয়, তিনি ২য় বিবাহে আবদ্ধ হলে ছেলে মাহিনকে তার জন্মদাতা বাবা সুমনের কাছে দিয়ে দিবে, এ নিয়ে কোনো আপত্তি থাকবে না।
মাহিনের দাদি ছালেহা বেগম দাবি করেন, মানছুরা তার ছেলে সুমন থেকে তালাক নিয়ে উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের বাড্ডা এলাকায় জনৈক প্রবাসীর নিকট ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মানছুরার সেই সংসারে ৪ মাস বয়সী শিশুটি সম্প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারা গেলে আমি আমার নাতি মাহিনকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই।
এদিকে নাতি মাহিনকে ফিরে পেতে ছালেহা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করলে উক্ত কর্মকর্তা তাকে পুলিশের দ্বারস্থ হতে পরামর্শ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ জানান, দাদি যদি মনে করেন তার নাতি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে, সে ক্ষেত্রে দাদি আদালতে গেলে মাননীয় আদালতে আমাদেরকে একটা নির্দেশনা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।