প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২২, ০০:০০
পদ্মা সেতুকে উৎসর্গ করে মানব রোবট ‘পদ্মা’ উদ্ভাবন করেছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রোবটটি উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. ইমরান চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার লোকমান খান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞানমনস্ক দেশ গড়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেই পথেই নিচ্ছেন। গত ২৫ জুন প্রাণের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। সেই সেতুকে উৎসর্গ করে রোবট ‘পদ্মা’ উদ্ভাবন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। তাদের গবেষণালব্ধ এই উদ্ভাবনটি আমাদের প্রত্যাহিক জীবনকে আরও সহজ করবে।
ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সঙ্গে সবসময় জেলা প্রশাসন থাকবে। তাদের এই নতুন নতুন উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করি।
রোবট উদ্ভাবন টিমের প্রধান কম্পিউটার সাইয়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোবটটি নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে নিতে পারিনি। তবে আজ রোবটটির উদ্বোধন হলো।
রোবট পদ্মা সব মানুষকে চিনতে পারবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাজিরা শনাক্তের কাজ করবে, রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন করতে পারবে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে এই রোবটটি।
রোবট পদ্মা প্রকল্পে অশংগ্রহণকারী শিক্ষার্থী মাহাদী বিন হাবিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এত বড় একটি প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। রোবট পদ্মা প্রস্তুত করা হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এমনকি এর বিল্ড ইন সফটওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
রোবটের ডিজাইন, ভয়েস, কোডিং সবকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্পন্ন করেছে। প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে ছিলেন এ এস ফারদিন স্যার। তার তত্ত্বাবধানে আমরা ৮ জন শিক্ষার্থী দিন-রাত কাজ করে রোবটটি তৈরি করেছি।
আরেক শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার কাঞ্চি বলেন, রোবটটি তৈরি শেষ হওয়ার পর অনেক ভালো লাগছে। তবে রোবটি তৈরি করতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। একটি রোবট নির্মাণের জন্য যে ধরনের সরঞ্জাম দরকার তা বরিশালে পাওয়া যায় না। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।