চাঁদপুর মৈশাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত করের পিতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নীরঞ্জন কর নীরু আর বেঁচে নেই। তিনি ৮২ বছর বয়সে গত ১৭ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়েসহ প্রচুর আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে যান। গতকাল ১৮ জুন শনিবার সকাল ৮টায় তার মরদেহ নিজ বাড়ী মৈশাদী ইউনিয়নে (বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ সংলগ্ন) নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাকে শেষবারের মত একনজর দেখার জন্য মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ছুটে আসেন। চাঁদপুর থেকে ছুটে যান আর্তমানবতার সেবামূলক প্রতিষ্ঠান জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা, চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার। তার নেতৃত্বে জীবনদীপের নেতৃবৃন্দ প্রয়াত নীরঞ্জন করের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় চাঁদপুর ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মৃনাল কান্তি দাস, জীবনদীপের উপদেষ্টা মৃদুল কান্তি দাস, জীবনদীপের রক্তদাতা মোঃ সাইফুদ্দিন খান, অশোক চক্রবর্তী, তাপস মজুমদার, উৎফল দাস, সুমন দাস, পলাশ দাস রাম, টুটুল মজুমদারসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা পূর্বক শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। এদিনই দুপুর ২টায় পারিবারিক শ্মশানে তার অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, প্রয়াতের সন্তান শিক্ষক সুরঞ্জিত কর জীবনদীপের একজন সক্রিয় সদস্য ও নিয়মিত রক্তদাতা। জীবনদীপ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ দুঃস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ করা থেকে শুরু করে সেবামূলক কাজের মাধ্যমে জেলা শহরসহ দেশের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।