প্রকাশ : ০৮ মে ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর শহরস্থ ষোলঘর বিটি রোড এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম তহশীলদারের বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল পবিত্র শবে ক্বদরের দিবাগত রাত ২টায় প্রতিবেশী বাড়ির লোকজন এ বাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে নূরুল ইসলাম তহশীলদার ঘরে ঘুমন্ত লোকজন কোনোমতে বেরিয়ে পড়ে। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে এ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি। ভাগ্যে জুটেনি সরকারি-বেসরকারি কোনো ধরনের সহায়তা।
অগ্নিকাণ্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে পাশর্^বর্তী বাড়ির সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির সুমন জানান, তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এবং এলাকাবাসী মিলে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও ততক্ষণে ঘরের ৮টি রুম পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাড়িতে থাকা জামা-কাপড় থেকে শুরু করে সকল মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ টাকা, গহনা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব কিছু কেড়ে নেয় আগুনের লেলিহান শিখা।
পরদিন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির সুমনসহ নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম তহশীলদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সব কিছু শেষ। প্রায় ৫০ লাখ টাকার ওপরে হবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। ঘটনার সময় তিনি স্থানীয় একটি এটিএম বুথে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন। তার ছোট ভাই তাকে ফোন দিয়ে তাকে জানায় আগুনের কথা। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি ঘুরে দেখেছি। ঈদের পর তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
প্রতিবেশী সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির সুমন বলেন, আগুনের এতো ভয়াবহতা ছিলো যে, মুহূর্তের মধ্যে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এমনকি স্টিলের আলমারিতে থাকা স্বর্ণের জিনিসগুলোও পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন চৌধুরী।