প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
দোকানটি ছোট হলে কী হবে? কাস্টমারের কমতি নেই। সদালাপী, বিনয়ী আর হাসিমাখা মুখ নিয়ে চা বানাতে আর সরবরাহ করতে ব্যস্ত চার প্রজন্মের চায়ের দোকানদার। বলছি চাঁদপুর শহরের গণি স্কুলের ২য় গেটের সামনে ও কোড়ালিয়া রোডের প্রবেশের শুরুতেই থাকা চায়ের দোকানের কথা। প্রথমে দোকানটিতে চা বানিয়ে বিক্রি করেন আব্বাস উদ্দিন। তিনি দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর চা বানিয়ে মানুষকে খাওয়াতে পছন্দ করতেন। বৃদ্ধকালীন নিজের মেয়ের জামাই সিরাজ বেপারীকে চা দোকানে বসিয়ে এবং চা বানানো শিখিয়ে মারা যান আব্বাস উদ্দিন। শুরু হলো সিরাজ বেপারীর এই চায়ের দোকান দিয়ে মানুষকে সেবা করা। তিনিও দোকানটি চালালেন দীর্ঘ ১২/১৩ বছর। হতে পারে তারও বেশি। বন্ধ হয়ে যায়নি চায়ের দোকানটি। সিরাজ বেপারী নিজে বৃদ্ধ হলে শ^শুরের ন্যায় দোকানে বসালেন তার ছেলে রফিক বেপারীকে। রফিকও কম নয়। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বাবার চা দোকান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। যদিও রফিক বৃদ্ধ হয়নি, তবু পূর্বসূরিদের ন্যায় চায়ের দোকানটি ধরে রাখার জন্য নিজের ছেলে আলআমিন হোসেন হৃদয়কে বছরখানিক ধরে চা বানানোর কায়দা শিখিয়ে-পড়িয়ে দিচ্ছেন। এটিই হচ্ছে চাঁদপুরের পুরানো চার প্রজন্মের চায়ের দোকান। ছবি ও প্রতিবেদন : চাঁদপুর কণ্ঠ।