প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
আজ থেকে ৭০ বছর আগের এই দিনে যারা ভাষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, ১৯৫২ সালের সেসব শহীদকে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে। সেই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাঁদপুরের সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার সময় প্রায় সবার কণ্ঠে ছিল অমর একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।’ শহীদ দিবসে শোকের আবহে অনেকে পরেছেন কালো পোশাক।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক। পরে জেলা পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। প্রথম প্রহরে এবং সকাল ৭টার পর সবাই ফুল দেয়ার জন্যে ব্যানার, ফেস্টুন, ফুলের তোড়া নিয়ে শহীদ মিনার বেদিতে অবস্থান নেয়।
দিবসটি উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের এ দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করলে ছাত্র-জনতা তা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে রাজপথে নামে। সেই মিছিলে গুলি চালালে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ বীর শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকার রাজপথ। মহান সেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণেই নির্মিত হয় শহীদ মিনার। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে এসে শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় গোটা জাতি।