রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের মনোনয়ন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৯-এর মনোনয়ন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা লঙ্ঘন করে যোগ্য শিক্ষার্থীর বদলে অন্য একজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে রেজিস্ট্রার দফতরের সংশ্লিষ্ট শাখা বলছে ডিন অফিস বরাবর একাধিকবার আবেদন করেও নির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ১০ ভাগ এবং স্নাতক পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের ৯০ শতাংশ যোগ করে মনোনয়ন দিতে হবে’ উল্লেখ আছে।

এই নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দফতর থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর ও সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে ছয় অনুষদ থেকে সর্বমোট ৭ জনের নাম পাঠানো হয়। কলা অনুষদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দুইজনের সিজিপিএ ও প্রাপ্ত নম্বর একই হওয়ায় সেখান থেকে দুইজনের নাম পাঠানো হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের জন্য ৫টি অনুষদের ডিন অফিস থেকে ফলাফল পাঠানো হলেও কলা অনুষদে এই ‘তথ্য নেই’ জানায়। কিন্তু অনলাইনে ওই সেশনের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট আছে, যা এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। সেই ফলাফল থেকে জানা যায়, কলা অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী একজন ভর্তি পরীক্ষার ৬৭.২৫ নম্বর পেয়ে ২১৫৬ সিরিয়াল ও অন্যজন ৬৭.০০ নম্বর পেয়ে ২২৬০ সিরিয়ালে থেকে ভর্তি হন। নীতিমালা অনুযায়ী চূড়ান্ত ফলাফলের ৯০ শতাংশ নম্বরের সাথে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ১০ শতাংশ যোগ করা হলে বঞ্চিত শিক্ষার্থী এগিয়ে থাকে।

মনোনয়ন বঞ্চিত ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের দুজনের সিজিপিএ একই। তবে ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরসহ যোগ করলে আমার নম্বর বেশি। নীতিমালা অনুযায়ী এই পদকের জন্য আমাকে মনোনয়ন দেয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর থেকে যৌথভাবে আমাদের নাম আসলেও তথ্য চাওয়ার জন্য আমাকে ফোন দেয়া হয়নি, অন্যজনকে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একেএম আক্তারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল হয় সিজিপিএর ভিত্তিতে। আমার কাছে অনুষদের সর্বোচ্চ ফলাফলধারীর নাম ও ফলাফল চাওয়া হয়েছে। আমি সেই তথ্য পাঠিয়েছি। কলা অনুষদ থেকে দজনের সিজিপিএ সমান হওয়ায় আমি দুজনের নামই পাঠিয়েছি। এখন ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলের তথ্য দিবে সংশ্লিষ্ট ডিন অফিস। তারপর উভয় ফলাফল সমন্বয় করে যে এগিয়ে থাকবে তার নাম যাবে।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার (বৃত্তি ও একাডেমিক) আশরা-উন-আকতার তুহিন বলেন, আমরা নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সিজিপিএধারীর তালিকার জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর ও ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের জন্য সব ডিন অফিসে চিঠি দেই। তার মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে কলা অনুষদের দুজনের নাম পাঠায়। কলা অনুষদের কাছে ওই দুজনের ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর চাইলে তাদের কাছে এই তথ্য নেই বলে জানায়। আমি নিজেও কয়েকবার ডিন অফিসে গিয়ে এই তথ্য চেয়েছি কিন্তু তারা দেয়নি। এখন আমাদের এই তালিকা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। তাই আমরা একজনের নাম দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার এসএম এনামুল হক বলেন, আমার কাছে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দুজন শিক্ষার্থীর তথ্য চাওয়া হয়েছিল। আমি এখানে নতুন এসেছি, এত আগের তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। আমাদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর সব তথ্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে বুঝিয়ে দিই। আমি তুহিন আপাকে বলেছি আইটি দফতর অথবা রেজিস্ট্রার দফতরের একাডেমিক শাখায় খোঁজ নিতে। তবে এখন যেহেতু ফলাফল শিট পাওয়া গেছে ডিন স্যার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. মো. রইছ উদদীন বলেন, কলা অনুষদের অফিসে সব বর্ষের ফলাফলই থাকার কথা। আমি ডিন হিসেবে মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। তবে যেহেতু একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে, আমার কাছে আসবে। নীতিমালা অনুযায়ী যে যোগ্য সেই মনোনীত হবে।

রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, আমি বৃত্তি ও একাডেমিক শাখাকে বলেছি আবার সব কাগজপত্র দিতে। আমরা এটা নিয়ে আলাদা করে বসব। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের কাগজ পাওয়া গেছে আমরা সেটা বিবেচনা করব। সবাই বসে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, যেহেতু এই পদক দেওয়ার জন্য একটা নীতিমালা আছে, সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আমি রেজিস্ট্রারকে বলেছি। তিনি এ বিষয়ে কাজ করবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়