রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তীর বাংলাদেশ
পীযূষ কান্তি বড়ুয়া

হাজার বছর ধরে পরাধীনতার শেকলে বাঁধা জাতির জীবনে শৃঙ্খল মুক্তির স্বাদ অনন্য ও অসাধারণ। সেই জাতি যখন হাঁটি হাঁটি পা পা করে অজস্র চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আপন জন্মের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করে, তখন তা হয়ে ওঠে রোমাঞ্চকর ও অতুলনীয় গৌরবের। বিশেষত যে রাষ্ট্রের জন্মক্রন্দনে মিশে আছে তিরিশ লক্ষ শহিদের প্রাণদানের আর্তনাদ আর দু লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর করুণ আর্ত চিৎকার। গঙ্গোত্রী হিমবাহ হতে আগত গঙ্গা (পদ্মা), মানস সরোবরের লোহিত বা ব্রহ্মপুত্র আর বরাক হতে আগত মেঘনার প্রবাহবাহিত পলির সম্ভারে সমুদ্রের গর্ভজাত যে ভূ-খ-কে আমরা জেনেছি ব-দ্বীপ বলে, তারই হৃদয়জুড়ে ছোট আয়তন নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখেছে প্রাচীন জনপদের অংশ তথা বাংলাদেশ। ‘আপনা মাসে হরিণা বৈরী’ বলে চর্যাপদের কবিদের যে আক্ষেপ ছিল, সে আক্ষেপ মূলত ছিল বাংলাদেশকে বিভিন্ন বিদেশী শক্তির শোষণের বেদনা হতে উৎসারিত। হাজার বছর আগে গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের হাতে এ বঙ্গভূমি কিছুদিনের জন্যে স্বাধীন হলেও শশাঙ্ক পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যক্ষ্মায় ভুগে মারা গেলে সেই স্বাধীনতা হাতছাড়া হয়ে যায়। ফলে বার বার বাংলার অফুরান সম্পদ লুণ্ঠনের জন্যে বিদেশি শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে এ বঙ্গভূমিতে। ‘খোকা ঘুমুলো পাড়া জুড়োলো/বর্গী এলো দেশে’ বলে যে ছেলে ভুলানো ছড়ায় মা তৎকালীন সামাজিক ব্যবস্থার যে করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন তা বলবৎ ছিল পঞ্চাশোত্তর পাকিস্তান আমলেও। পাকিস্তানের নিগড় হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি মুক্ত স্বদেশ পাওয়ার মাধ্যমে শোষণের সে যাঁতাকল এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবু এদেশে আজও প্রকৃত অর্থে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব হয়নি।

স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্যে দিয়ে যে পতনের সূচনা হলো বাঙালির, সেই পতন হতে আজও সত্যিকারের উত্থান সম্ভব হয়নি। উত্তাল সময়-সমুদ্রে হাল ধরে আছেন আজ তাঁরই দুহিতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর প্রজ্ঞা ও দর্শনে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য আজ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সোনার বাংলার অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য এখনও ঢের দূরে। একজন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আধুনিক বাংলাদেশ পেয়েছি, কিন্তু সময় আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছুই। আমরা আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখি, উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার রূপকল্প আঁকি। আমাদের অর্থে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করলেও মানুষে মানুষে সম্প্রীতির সেতু আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে কিন্তু সহনশীলতার ক্ষমতা কমে গেছে। মাঝে মাঝে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের হতাশ করে দেয়, হতাশ করে দেয় অবক্ষয়ের উচ্চহারও। আমরা মেট্রোরেল করে যানজট কমানোর চেষ্টা করলেও মনের বিভেদরেখা আমরা মুছতে পারিনি। আমরা আধুনিক যানে গতিকে ধরতে পেরেছি কিন্তু চিন্তনের প্রগতিকে নষ্ট করে দিয়ে মধ্যযুগে ফেরৎ যাচ্ছি ক্রমশ।

সময়ের আগে আমরা এসডিজি বাস্তবায়নে এগিয়ে গেছি ঠিকই, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে মুহূর্তের মধ্যে মানুষকে কয়লায় পরিণত করে চলেছি। আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর হচ্ছে, কিন্তু মানবিক অনুভূতিগুলো হয়ে যাচ্ছে ভোঁতা। যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সংঘটিত হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ, আজ সে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় চড়ে বসেছে রাষ্ট্রধর্মের বিশাল পাহাড়। আমরা মহাশূন্যে উড়িয়েছি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কিন্তু এখনও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে আছি গ্রাম থেকে নগরে। কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে টানেলে যাতায়াতের আধুনিক ব্যবস্থাকে আমরা করায়ত্ত করেছি ঠিকই, সাথে সাথে কল্লা গুজবে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছি সাধারণ মানুষের মনে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নতির কারণে আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে কিন্তু এখনও ফুটপাতের শেকড়-বাকড় আর মালিশের প্রতি আমাদের আবেগের ফল্গুধারা ছোটে। আমরা ভ্যাক্সিন হিরোর পুরস্কারে ভূষিত হলেও করোনা ভ্যাক্সিনে মানুষ পাগল হওয়ার গুজবে দেশকে আতঙ্কিত করে ছেড়েছি। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা জয় করলেও জলবায়ু বিপর্যয় রোধের তহবিল নিয়ে আমাদের দৈন্য দূর করতে পারিনি। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর সময়ে সমুদ্র বিজয় করে দেশের সীমানা বাড়ালেও রোহিঙ্গাদের অতিরিক্ত চাপ নিয়ে নিজেরাই হিমশিম খেয়ে চলেছি। ছিটমহল সমস্যার সমাধান হলেও আমরা সীমান্ত নিয়ে মাঝে মাঝেই উত্তেজিত হয়ে পড়ি এবং খরা মৌসুমে তিস্তার পানি না পেলেও বর্ষায় অবলীলায় তিস্তার জলে পশ্চিমবঙ্গ আমাদের ভাসিয়ে দেয়।

বিগত পঞ্চাশ বছরে আমাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে অকল্পনীয়ভাবে। প্রবাসীদের রেমিট্যান্সও বেড়েছে। এমনকি প্যান্ডেমিকে পর্যুদস্ত বিশে^ও আমাদের জিডিপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তেমনভাবে। কিন্তু দুর্নীতির অমাবস্যা আমাদের সেই অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে বার বার। আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমলেও ডিজিটাল যন্ত্রণা বেড়েছে। ইন্টারনেটের শ্লথগতি আমাদের কাক্সিক্ষত ডিজিটাল সুবিধা এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাদক আমাদের বড় বাধা। কিন্তু দিনের বেলায় নেতা নিজেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে রাতে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সকল চৈতন্য শূন্য করে। গত পঞ্চাশ বছরে বাক স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বিপরীতপক্ষে হলুদ সাংবাদিকতাও বেড়েছে। কতিপয় কর্পোরেট হাউজের সংবাদপত্রগুলো নিজেদের ঢোল বেশি বাজায় এবং অন্যের দোষের তিলকে তাল করে তোলে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা যেমন বেড়েছে তেমনি ভুয়া সনদ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সাজা নকল মানুষও বেড়েছে। রাজনীতিতে আদর্শহীন শংকর নেতা-কর্মীর বিপ্লব ঘটেছে। পঁচাত্তরের পনর আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পাহারা দেয়ার লোক পাওয়া না গেলেও আজকাল বঙ্গবন্ধুর নামে জয়ধ্বনি দেয়া হাইব্রিডের অভাব নেই। সুসময়ের মাছিদের ভিড়ে দুঃসময়ের কা-ারীদের স্থান খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে গেছে।

নারীর ক্ষমতায়নে সুবর্ণজয়ন্তীর বাংলাদেশ এগিয়ে এসেছে অনেক। নারী প্রধানমন্ত্রী, নারী স্পীকার, নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নারী শিক্ষামন্ত্রী, নারী মেজর জেনারেল, নারী পাইলট, নারী পুলিশ সুপার, নারী জেলা প্রশাসক, নারী ইউএনও থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আজ নারীর জয় জয়কার। কোভিড-১৯-এর ভাইরাসের জিনোমিক কোড আবিষ্কারে বাবার সাথে মেয়ে রূপে নারী বিজ্ঞানীই এগিয়ে এসেছে সাফল্যে উজ্জ্বল হয়ে। ফুটবল মাঠ কিংবা ক্রিকেটের মাঠে, কাবাডি কিংবা তায়েকান্দো, সবকিছুতেই নারীরা এগিয়ে এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্যে। কর্মজীবী নারীর কারণে আজকাল অনেক পরিবারে ফিরে এসেছে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য। তবুও, এতো অর্জনেও ধর্ষণের বাড়– বাড়ন্তের কারণে নারীদের স্বাধীনতা আজও হুমকিতে রয়ে গেছে। ইভটিজিং কিংবা নারী নির্যাতনের হার এখনও আশানুরূপ রোধ হয়নি।

রাষ্ট্রের উন্নয়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য আজও সুদূর পরাহত। দোষারোপের সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত রাজনীতি আজও জাতিকে আলো দেখাতে পারেনি সমৃদ্ধির।

ক্রিকেট আমাদের গৌরব এনে দিলেও খেলোয়াড়দের আত্মবিধ্বংসী কর্মকা- আমাদের সে গৌরবকে ম্লান করে দেয়। বিশ^সেরা অলরাউন্ডার নিয়েও আমরা আমাদের মাঠের খেলায় ধারাবাহিক হতে পারিনি। বাইশগজী খেলার চেয়ে আমরা ব্যক্তিগত স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ছি বেশি। ক্রীড়ায় নৈপুণ্য অর্জনের চেয়ে আমরা এক একজন হয়ে যাচ্ছি খেলার মাঠে ধর্মপ্রচারক। ফুটবল খেলার যে ভবিষ্যৎ শহিদ শেখ কামাল আমাদের দেখিয়েছিলেন, আশির দশকের পরে সেই ভবিষ্যৎ আমরা নষ্ট করে ফেলেছি নিজেদের অদক্ষতায়। অথচ ঢাকার মাঠ ছাড়াও বিভাগীয় ফুটবল লীগগুলোতেও বিদেশি ফুটবলাররা তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন এক সময়ে। দাবা আমাদের গৌরবের আলো দেখালেও নিয়াজ মোর্শেদের মানের খেলোয়াড় এখন আর আসছে না। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে আমরা এক সময় দ্বিতীয় স্থান অর্জনের লড়াইয়ে শামিল হলেও আজকাল পদক অর্জন করাটাই কঠিন হয়ে উঠেছে। অলিম্পিকে সোনালি সময়ে মুষ্টিযুদ্ধ, সাঁতার ও কাবাডিতে আশা জাগালেও এখন আর কোনো খবর নেই। আমরা ক্রমাগত খেলাধুলায় নিজেদের অবনমনের তালিকাতেই নিয়ে যাচ্ছি, ক্রীড়ায় উন্নয়ন হয়ে গেছে সোনার হরিণ।

পররাষ্ট্রনীতিতে এখনও মিথ্যে ভাবমূর্তি তুলে ধরাকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের জনশক্তি রপ্তানির পথ সুগম রেখে আমাদের রেমিট্যান্সের কলেবর অক্ষুণœ রাখতে পেরেছি। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ আজ আঞ্চলিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্বগুণে ভারতের পর বাংলাদেশ নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছে। আগে আমরা বিদেশি রাষ্ট্রনায়কের সাথে ছবি তুলতে পারলে বর্তে যেতাম। আর এখন, আমাদের সরকার প্রধানের সাথে আমেরিকা-কানাডার রাজনীতিবিদরা ছবি তুলে হর্ষ প্রকাশ করে। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার যেমন বিশ^ চ্যাম্পিয়ান হয়ে জাতিকে হেয় করেছে, তেমনি এই পঞ্চাশ বছরে দেশ ভ্যাক্সিন হিরোসহ চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থের পুরস্কার পেয়ে জাতিকে ধন্য করেছে।

সুবর্ণ জয়ন্তীর বাংলাদেশ অর্জনে-গর্জনে, সুনামে-দুর্নামে পার করেছে পঞ্চাশ বছর। চোরের খনি আর তলাবিহীন ঝুড়ির আক্ষেপ নিয়ে যে জাতির স্বাধীনতার সূচনা হয়েছিল, সে অবস্থার পরিপ্রক্ষিতে বলা যায়, দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি আমাদের এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, দুর্নীতি আর ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারলে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের হার কার্যকরভাবে রোধ করা সত্ত্বেও আমাদের কোনো অর্জনই টেকসই হবে না। আগামী দুহাজার ত্রিশ সালের এসডিজি স্টেশনে সম্মানের সাথে পৌঁছাতে হলে মানুষের মননের সাংস্কৃতিক ও নৈতিক উন্নয়ন জরুরি। কেননা, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের কথা চিন্তা করেছিলেন, তাতে ভৌগোলিক মুক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আবশ্যকতা সংশ্লিষ্ট ছিল। এদের কোনো একটির ঘাটতিতে সোনার বাংলার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। আশার কথা এই যে, জাতির জনকের কন্যা এককভাবে আমাদের আশার প্রদীপকে জ্বালিয়ে রেখেছেন বাঙালি জাতির অতন্দ্র প্রহরী হয়ে। আমরা তাঁরই বরাভয়ে সোনালি গন্তব্যের আশায় পথ চলি শতবর্ষের অভিমুখে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়