প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জের দায়চারায় জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ
ভয়-ভীতি ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের মোল্লাবাড়ির মোঃ ফজলুল করিমের পরিবার। অন্যদিকে অভিযুক্ত নেছার আহমেদ মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এর সব কিছুই মিথ্যা এবং উল্লেখিত যে সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে তা অনেক আগেই আমি ক্রয় করেছি।
বিষয়টির সত্যতা জানতে এবং অভিযোগের আলোকে দায়চারা মোল্লা বাড়িতে গেলে অভিযোগকারী মোঃ ফজলুল করিম বলেন, তিনি একই বাড়ির ওয়াহেদ আলীর পুত্র অলীমুদ্দিন ও খলিলুর রহমানের দুই পুত্র আব্দুর রব মোল্লা ও মনোহর মোল্লা এবং ভেলুয়া সুন্দরী থেকে মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হতে ৭৫৮ দাগে এক শতাংশ সম্পত্তি সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৮৪৯৪/ ২৪-০৮-৮৭। এছাড়া আব্দুল মতিন মোল্লা ও আবুল হোসেন মোল্লাদের মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হতে ক্রয় করেন ১ শতাংশ। যার সাব কবলা দলিল নং ৮৫৬২/২৭-০৮-৮৭। তিনি এই সম্পত্তি দীর্ঘদিন ভোগ-দখল করে আসছেন। এছাড়া বাড়ির এজমালি একটি পুকুর ইজারা দিতে গেলে সেই পুকুরটি তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পেয়ে চুক্তি মোতাবেক তিনি সেই পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু একই বাড়ির নেছার আহমেদ মোল্লা ও তার ছেলে মোঃ রবিউল হোসেনসহ তাদের পরিবারের অন্যরা চায় না ফজলুল করিমের পরিবার বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করুক। তাই তারা ফজলুল করিমের উপরে উল্লেখিত ২ শতাংশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার জন্যে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে এবং ইতিপূর্বে অনেকবার তাকে মারার চেষ্টাও করেছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, তার ইজারাকৃত পুকুরে মাছ চাষ করতে তারা বাধা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে পুকুরে মাছ চাষে দেখভাল করতেও বাধা প্রদান করে আসছে এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলে, যদি পুকুরে তারা মাছ চাষ করে বা পুকুরে নামে তাহলে বিষ প্রয়োগ করে মাছের ক্ষতি করবে। তিনি আরো বলেন, তার পৈত্রিক সূত্রের ৯৪০ দাগের একটি সম্পত্তির উপর দিয়ে নেছার আহমেদ ও তার ছেলে রবিউল জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে বাধা দিতে গেলেও ফজলুল করিমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে একই বাড়ির সিরাজুল হক মোল্লা, আব্দুল কাদির মোল্লা, আলমগীর হোসেন, হুমায়ুন কবিরসহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, হাফেজ মোঃ ফজলুল করিম যা বলেছেন তা সবই সত্য। এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে আমরা এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।
অন্যদিকে অভিযুক্ত মোঃ নেছার আহমেদ মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপরে উল্লেখিত সম্পত্তি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। ফজলুল করিমের অনেক আগেই আমরা এই সম্পত্তি ক্রয় করি। ফজলুল করিম যাদের থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করেছে তারা এই সম্পত্তির মালিক না বলে তিনি জানান। কিন্তু এ সময় নেছার আহমেদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির কোনো দলিল দেখাতে পারেন নি। ফজলুল করিমকে হুমকি ধমকির বিষয়গুলো তিনি অস্বীকার করেন।
বিষয়টি নিয়ে ফজলুল করিম ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি নং ৮৫৭। তিনি প্রশাসনিকভাবে এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করছেন।