প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ে হাইমচর উপজেলার শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরস্থ আলগী বাজার আদর্শ শিশু নিকেতন হলরুমে এ দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিকের সভাপ্রধানে ও অধ্যক্ষ আবদুল লতিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন গণ্ডামারা এবিএস ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহমান হামিদী।
বক্তব্য রাখেন স্কুলের উপাধ্যক্ষ ফালগুনি মজুমদার, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্নান, আব্দুল মতিন, শফিকুর রহমান, রিয়াজ হোসেন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুলের প্রধান ক্যাম্পাসের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিশকাটালী শাখার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও রামপুর বাজার শাখার শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ বিদায় বিদায় নয়। এটা উচ্চশিক্ষার পথে তোমাদের আরো একধাপ এগিয়ে দেয়া। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার জন্যে পরীক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা। কোনো ধরনের অবৈধ পন্থার আশ্রয় না নিয়ে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দেয়ার জন্যে বলেন এবং পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
বিদায়ী বক্তব্যে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘বিদায়’ শব্দটা তিন অক্ষরের হলেও এটার বেদনা কতটুকু তা আমরা এখন বুঝতে পারছি। স্কুলের ছুটির ঘণ্টা আজ মনে হলো একটু তাড়াতাড়ি বেজে গেলো। কিন্তু অন্যদিনের এই ছুটির ঘণ্টা আর আজকে ছুটির ঘণ্টার মধ্যে পার্থক্য একটাই-আজকের পর থেকে স্কুলে ক্লাস করার জন্যে আর আমাদের যেতে হবে না। হয়তোবা স্কুলে এসে ক্লাস করতে অনেক ইচ্ছে হবে। সে ইচ্ছে পূরণ হবে না। কথাটা ভাবতেই কেনো জানি মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আসলেই জীবনটা খুব ছোট। দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণিতে থাকতে ভাবতাম, কখন সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে উঠবো। আর সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে উঠে ভাবতাম, কবে স্কুলজীবনটা শেষ করবো। এখন সেই সময় এসেছে। কিন্তু আজকে কেনো এতো খারাপ লাগছে। কেনো জানি না নিজের অজান্তেই চোখের কোণে পানি এসে বলছে, যেতে তো চাই না তবুও কেনো তাড়িয়ে দিচ্ছে আজকে এভাবে। হতে পারে নিজের অজান্তেই স্কুল এবং স্কুলের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলেছি, যা হয়তো দ্বিতীয়-তৃতীয় এবং সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন বিদায়কালে বুঝতে পারছি, কতটা ভালোবাসি স্কুলকে।