প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
করোনা মহামারী উপেক্ষা করে প্রায় ১৮ মাস পর রোববার চাঁদপুরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিলো ৪১ হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থী। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দীর্ঘ ৯ মাস পিছিয়ে থাকার কারণে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
১৪ অক্টোবর রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষার প্রথম দিনে চাঁদপুর জেলার ৮টি থানার ৭২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের এসএসসি পরীক্ষার সময়ও কমিয়ে আনা হয়েছে দেড় ঘণ্টায়।
জেলার ৮টি থানার সবক’টি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরুর পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বেঞ্চে দু’জন করে পরীক্ষার্থী বসানো হয়। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে শিক্ষার্থীদের হাত জীবাণুমুক্ত করে এবং তাপমাত্রা মেপে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। কোনো শিক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে এবং করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে তাকে আলাদা রুমে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের শিক্ষা বিভাগের সুপারিশ অনুযায়ী জেলার প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে আইসোলেশন রুম প্রস্তুতসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদেরও দেখা যায়। এছাড়া জেলার প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র এলাকায় অভিভাবকদের বাড়তি চাপও নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চাঁদপুর সদরে ৬টি কেন্দ্রে অংশ নেয় ৬ হাজার ২শ’ ২০ জন। এছাড়া হাজীগঞ্জের ৯টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩শ’ ১০ জন, মতলব উত্তরের ৭টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ২শ’ ৫৬ জন, মতলব দক্ষিণের ৪টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৬শ’ ৮ জন, ফরিদগঞ্জের ৫টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ১শ’ ৭৭ জন, শাহরাস্তির ৫টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬শ’ ২৫ জন, কচুয়ার ৭টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭শ’ ২৯ জন এবং হাইমচরের ১টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৮ জন অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, দেশে বেশ ক’বছর ধরে ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগেই শেষ হয়। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার ৯ মাস পিছিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।