বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

তারা গরু চোর বটে!
অনলাইন ডেস্ক

হাজীগঞ্জে গরু চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। এই চক্রের সদস্যদের কেউ সরাসরি চুরি কিংবা কেউ পরিবহন করে। কেউ বাজারে বিক্রি এবং আবার কেউ চোরাই সেই গরু জবাইয়ের কাজ করে। পিবিআইয়ের জালে ধরা পড়া আলোচিত চোরচক্রের এক সদস্য আজাদ হোসেনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের নাম পরিচয় জানিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে সে। পরে আদালতের বিচারক মোঃ কফিলউদ্দিনের নির্দেশে অভিযুক্ত আসামি আজাদ হোসেনকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক আব্দুস সাত্তারের গোয়ালঘর থেকে বিগত ২০২০ সালের ৬ আগস্ট রাতের আঁধারে তিনটি গরু চুরি হয়। এই ঘটনার পর হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন আব্দুস সাত্তার। কিন্তু তদন্ত করে পুলিশ কোনো কিনারা করতে না পেরে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় আদালতে। মামলার বাদী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত পায় পিবিআই।

পিবিআইয়ে কর্মরত উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, দীর্ঘ কয়েক মাস তদন্ত শেষে গরু চোরচক্রের সদস্যদের সন্ধান পান তিনি। পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা আরো জানান, গরু চোরদের চারজন চার রকমের কাজ করে। এই চক্রের সদস্যদের কেউ সরাসরি চুরি করে। কেউ পরিবহন করে। কেউ বাজারে বিক্রি করে। আবার কেউ চোরাই গরু জবাই করে।

এরই মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মীর, উপপরিদর্শক ফজলুর রহমান এবং উপপরিদর্শক মীর আমিরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে আটক করেন আজাদ হোসেনকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। পরে আদালতে তোলা হলে অন্যদের নাম প্রকাশ করে আজাদ হোসেন। পরে এদের মধ্যে ফিরোজ (৩৭) নামে এক কসাইকে আটক করে পিবিআই। অন্য দুই আসামিকেও আটকের চেষ্টা করছে বলে জানায় পিবিআই।

জানা গেছে, স্কুলশিক্ষক আব্দুস সাত্তারের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে গরু চুরির আগে প্রথমে কবুতর চুরি করতে যায় আজাদ হোসেন। তখন বাড়ির লোকজনের হাতে ধরা পড়ে সে। পরে সে ঘোষণা দেয়, কবুতর চুরিতে গিয়ে ধরা পড়লেও পরে কিন্তু গরু চুরিতে কিছুই হবে না। সূত্র : কালের কণ্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়