গত শনিবার বিকেল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর ও উপ-দপ্তর সম্পাদকের সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক ৮টি জেলার (কুমিল্লা মহানগর, কুমিল্লা উত্তর, কুমিল্লা দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা) দপ্তর ও উপ-দপ্তর সম্পাদকদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের দপ্তর বিভাগ থেকে ধাপে ধাপে ৮টি বিভাগের জেলাসমূহের দপ্তর ও উপ-দপ্তর সম্পাদকদের সাথে এই সভার আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাজের ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এ মতবিনিময় সভায় আলোচনা করা হয়। সভার উদ্দেশ্য হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকল নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং দলীয় প্রচার-প্রচারণা জোরদার করা, তৃণমূল পর্যায়ের সকল কর্মকাণ্ড কীভাবে তুলে ধরা যায় এবং বিরোধী পক্ষের অপপ্রচার ও পাল্টা জবাব দেয়া। কনভেনশনাল মিডিয়ার পাশাপাশি এখন অনলাইন মিডিয়ার বিস্তারে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রচার-প্রচারণা এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ।

গত ২৩ জুন ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিকশিত হয়েছিল জ্ঞাননির্ভর সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। ২০০৮ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করছেন। জাতির সামনে সময়োপযোগী রূপকল্প প্রণয়ন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য সুরক্ষিত রাখতে শতবর্ষী প্ল্যান ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ ঘোষণা করেছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই ডিজিটাল বাংলাদেশকে আমাদের টেকসই করতে হবে। একই সাথে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে হবে। দলের দপ্তর বিভাগ এক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি আরও বলেন, সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠন গতিশীল করতে আমরা কাজ করছি। সংগঠনকে গতিশীল করতে দপ্তরের অবদান অনস্বীকার্য। সংগঠনের ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর সরকারের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে। সংগঠন স্মার্ট হলে সরকার স্মার্ট হবে। সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর পক্ষ থেকে সভা পরিচালনায় কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়। সিআরআই-এর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু ও ডাটাবেইজ টিমের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী সভায় সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়া সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৮টি জেলার সংযুক্ত দপ্তর ও উপ-দপ্তর সম্পাদকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।