শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিাবাদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিাবাদ

গত ২২ সেপ্টেম্বর রোববার দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘জেলা পরিষদের ইলেকট্রিশিয়ানের টেন্ডার বাণিজ্য ও নামে-বেনামে বিপুল অর্থ-সম্পদ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যা প্রকাশ করা হয়েছে তা সত্য নয়।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে : কচুয়ার প্রসন্নকাপ হাইস্কুলের বন্যা ও আশ্রয় কেন্দ্রের কাজ নিয়ে কাজী মইনুল ইসলামের সাথে আমি চুক্তিবদ্ধ হই। চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে সঠিক সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে কাজ শেষ করার পর হিসেবে গরমিল হয়। সঠিকভাবে সালিসের মাধ্যমে হিসাব করতে গিয়ে তিন মাস সময় লেগে যায়। হিসাব ফাইনাল হয়ে আসলে সজিব ও মামুন হিসাব করার জন্যে আর বসেননি। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর পর তারা আমার নামে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন। কাজের প্রথমে সরকারি কোষাগার থেকে আমি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার টাকার ১টি চেকে উত্তোলন করি। বাকি সমস্ত টাকার চেক মইনুল ইসলাম সজিব উত্তোলন করেন। তাদের মাধ্যমে টাকা বন্টন করা হয়। চেকের দায়িত্ব আমার ওপর থাকলেও মইনুল ইসলাম সজিব স্বাক্ষর করে টাকা উত্তোলন করে নেন। লোকমান হোসেন রিপন নামের ব্যক্তির ন্যাশনাল ট্রেড সিস্টেমের লাইসেন্সের উপর কাজ করা হয়। লাইসেন্স ব্যক্তি আমাকে চেক না দিয়ে মইনুল ইসলাম সজিবকে টাকা উত্তোলন করার জন্যে চেক দিয়ে দেন। কিন্তু কাজের সকল দায়িত্ব ও টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব আমার। এ মর্মে একটি চুক্তিনামা করা হয়। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী তারা আমার সাথে কাজ করেননি। সজিব যে সমস্ত চেকের ওপর টাকা উত্তোলন করে সেগুলো হলো : হিসাব নং-২৩০৩৩০০০১২৪, চেকনং-৬১৬০৭৭৬, ৬১৬০৭৭৪, ৬১৬০৭৭৯, ৬১৬০৭৪০, ৬১৬০৭৮৬, ৬১৬০৭৮৭। এসব চেকের মাধ্যমে মইনুল ইসলাম সজিব টাকা উত্তোলন করেন। এ টাকা থেকে মইনুল ইসলাম সজিব ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ২শ’ ১৫ টাকা নেন। মামুন নেয় ৯৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬শ’ টাকা। আমি মিজানুর রহমান নেই ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট টাকা উত্তোলন হয় ২ কোটি ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭শ’ ৪৮ টাকা। তিনজন মিলে কাজ শেষে ২ কোটি ২৪ লাখ ৭ হাজার ৮শ’ ১৫ টাকা ভাগ করে নেই। বাকি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৯শ’ ৩৩ টাকার হিসাব মইনুল ইসলাম সজিবের কাছে রয়েছে। তাছাড়া কাজ চলাবস্থায় ফান্ডের টাকা থেকে সজিব ১টি মোটারসাইকেল ক্রয় করেন। রড, সিমেন্ট, রং, পাথর, গ্রিল ও ইট বাবদ বকেয়া রয়েছে ৭/৮ লাখ টাকা। প্রকৃতভাবে হিসাব করে আমার কাছে যদি টাকা পাওনা থাকে, তাকে আমি টাকা ফেরত দিতে রাজি আছি। আমার নিকট থেকে ১টি খালি স্ট্যাম্প ও ১টি চেক জোর করে স্বাক্ষর করে নেন সজিব ও মামুন। তাছাড়া আমার সাথে এ হিসাব ছাড়া তাদের কোনো দেনা-পাওনা নেই। আর হিসাব নং-০২০০০০৫২১৭৭০০, চেক নং-১১৯১১৫৭৬১৬০ চেকটি আমার কাছ থেকে নিয়ে একটি মামলা করে। পরে চেকটি ডিজঅনার হয়ে যায়। আমার কোনো ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি নামে-বেনামে নেই। যদি থেকে থাকে তাহলে আইনগতভাবে যে শাস্তি দেয়া হয় তা আমি মাথা পেতে নেবো। আমাকে ভুল বুঝে সাংবাদিককে ভুল তথ্য প্রদান করে আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় ও অনলাইনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমার ও আমার পরিবারের মান ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। আমি প্রকাশিত পুরো সংবাদের তীব্র ও প্রতিবাদ জানাই।

বিনীত

মোঃ মিজানুর রহমান বেপারী

পিতা মৃত : মোঃ রুস্তম আলী বেপারী

সাং : কল্যান্দি, পোঃ বাবুরহাট

উপজেলা, জেলা : চাঁদপুর।

জিডি ৪৯৯/২৪

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়