শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি ॥
দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দিনমজুর আব্দুর রহমান (৩২)কে জবাই করে হত্যার ৪৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আব্দুর রহমান আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে একই দিন রাত ৯টার দিকে পুনরায় দাফন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টায় পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই বেপারী বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পুরুষাঙ্গ ও বামহাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এক পর্যায়ে তাকে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় । তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে লাশের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। ৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়