প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের বজুরিখোলা গ্রামে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। বজুরিখোলা গ্রামের আব্দুল মালেক দেওয়ানের পুত্র আব্দুল জলিল তার সম্পত্তি অংশে ড্রেজার দ্বারা মাটি ভরাট করা হচ্ছে অভিযোগ এনে ৫ জনকে আসামী করে গত ২৯ আগস্ট চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৪নং বড়দৈল মৌজার সিএস ১১৭নং ও বিএস ৯১৩নং খতিয়ানে সাবেক ১৬১২ হালে ৩৫৩১ দাগে ২১ শতকের তদান্দরে সাড়ে ১০ শতক তদান্দরে সাড়ে ৩ শতক সম্পত্তি ভোগ দখল করে থাকাবস্থায় মামলায় বর্ণিত প্রতিপক্ষগণ লোভের বশবর্তী হয়ে জোরপূর্বক ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ভরাটের প্রস্তুতি নেয়। উক্ত সম্পত্তি অংশ ভরাট না করতে আব্দুল জলিল ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারামতে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের আবেদন জানান। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রতিপক্ষ বজুরিখোলা গ্রামের শহীদ দেওয়ান (৫৫), সিদ্দিক দেওয়ান (২২), দুলাল দেওয়ান (৪৫), সিরাজ দেওয়ান (৫০) ও আকতার হোসেন (৪০) কে প্রার্থিত ধারামতে ড্রেজার দ্বারা মাটি ভরাটের জন্যে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা কচুয়া থানার পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে জারি করেন। কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষরা উক্ত সম্পত্তি অংশে অবৈধ ড্রেজার দ্বারা মাটি ভরাট করে আসছে বলে বাদী আব্দুল জলিল দাবি করেন।
সাচার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, ড্রেজার মেশিনটি দিনে না চালিয়ে রাতের অন্ধকারে চালিয়ে মাটি ভরাট করা হচ্ছে বলে শুনেছি। এ অভিযোগের সত্যতা রয়েছে কি না খবর নিচ্ছি।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোমেনা আক্তার বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষরা অবৈধ ড্রেজার ধারা তর্কিত সম্পত্তিতে মাটি ভরাট করছে কি না এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওসি সাহেবকে এখনই বলে দিচ্ছি।
সরেজমিনে গেলে মামলার প্রতিপক্ষরা আদালতের নির্দেশ অনুসারে মাটি ভরাট করার কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে দাবি করলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানান, সুযোগ পেলেই রাতের আঁধারে ড্রেজার দ্বারা মাটি ভরাট করা হচ্ছে।