রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

অনলাইন ডেস্ক
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ১৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় 'ফরিদগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ' শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে একক ও খামখেয়ালীভাবে অভিযোগ উল্লেখ করে আমাকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। পৌরসভার মেয়রের অধীনে যারা চাকরি করে, যেমন পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, হিসাব রক্ষক, ক্যাশিয়ার ইত্যাদি সকলে মেয়রের আদেশ মান্য করতে হয়। তিনি যে দলের ব্যক্তিই হন সেটা মুখ্য বিষয় নয়। পৌরসভার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী মেয়রের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো কাজ করতে পারেন না। মেয়রের কথার বাইরে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী গেলে তার চাকরি হারানোর শঙ্কা বা বদলির খড়গ সামনে চলে আসে।

বিভিন্ন পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ক্যাশিয়ারের অঢেল অবৈধ সম্পদ, আলীশান বাড়ি, জমি ও দোকান এবং বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বেনামে নগদ অর্থ রয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি বিভিন্ন পৌরসভায় দীর্ঘ ২৯ বছর চাকরি করছি। কিন্তু আমার প্রশ্ন, ওই সকল সংবাদকর্মী ভাইদের নিকট, আমি রায়পুর ঐতিহ্যবাহী দেওয়ানজী বাড়ির সন্তান, আমার পিতার কি কিছুই নাই? আমার আত্মীয়-স্বজন বলতে কেউ কি নেই? আমি দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় চাকরি করেছি, তাই বলে আমার থাকার জন্যে কিছু করা যাবে না? আমি আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমার পিতার জায়গার ওপর অর্থাৎ (৪ শতাংশ) ভূমির উপর ৩ তলা এবং ৪ তলায় ৩টি রুম নির্মাণ করার জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করি। অদ্যাবধি বাড়ির কাজ শেষ করতে পারি নি। বিল্ডিংয়ের বাহির দিক থেকে বোঝা যায় বিল্ডিংটি ৪ তলা এবং দেখতে খুব সুন্দর। কিন্তু ভেতরে অনেক কাজ এখনো বাকি আছে। অথচ পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, রায়পুরে আমার ৩/৪টি আলীশান বাড়ি এবং দোকান/মার্কেট আছে, ব্যাংকের হিসেবে নামে-বেনামে নগদ অর্থ আছে।

আমার যদি ৩/৪টি বাড়ি এবং আমার বাড়ির সামনে ৪টি দোকান, বিভিন্ন ব্যাংকের হিসেবে নামে-বেনামে অগণিত নগদ অর্থ থাকে, তাহলে এই বয়সে এসে কষ্ট করে আমার চাকরি করার কী দরকার? আমি আপনাদের আহ্বান করি, আপনারা আসেন, সরজমিনে তদন্ত করেন, আমি আপনাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো। মূলতঃ আমার বাড়ির সামনে ৪টি জরাজীর্ণ টিনশেড দোকান আছে। আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে পত্রিকায় ফলাওভাবে প্রকাশ করে যে, আমার মার্কেট রয়েছে। বর্তমানে আমি যে বেতনে চাকরি করি, তা দিয়ে নিজের সংসার খরচ, ছেলেদের পড়াশোনার খরচ জোগান দিতে অনেক কষ্ট হয়। আমার আত্মীয়-স্বজন সহযোগিতা না করলে, বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণ এবং ছেলেদের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারতাম না। আমি আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে গৃহ নির্মাণ লোন গ্রহণ করে বাড়ির কাজে হাত দিয়েছি। আমার পরিবারের ১৫/২০ জন পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে থাকে। তাদের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত চলে আসছি।

পৌরসভার সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার নিজ ইচ্ছায় ২০১১ সালে নরসিংদী পৌরসভায় বদলি হন। তখন পৌরসভার প্রশাসক তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এনামুল হক স্যার ক্যাশিয়ার বদলি হওয়ার কারণে শূন্য পদে অন্য কাউকে না পেয়ে তৎকালীন সচিব আলাউদ্দিন সাহেবের সুপারিশক্রমে আমাকে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পৌরসভার ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব শুধু নোট দেয়া, বিল প্রস্তুত করা এবং সচিব ও মেয়রের নিকট চেক প্রস্তুত করে উপস্থাপন করা। যেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যেমন- সচিব, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, বিল বা চেক স্বাক্ষর করার পর মেয়রের নিকট চেক উপস্থাপন করা হয়। মেয়র চেকে স্বাক্ষর করার পর বিল পাস হয়। সেখানে এককভাবে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব থাকে না।

পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে , যে সকল মাস্টাররোল কর্মচারীদেরকে চাকরি হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে, তাদের বেতন আমি আত্মসাৎ করেছি। এখানে উল্লেখ করা হয় যে, পূর্বে অনেকেরই বেতন বকেয়া ছিলো, কিন্তু বেতন বিল করা হয় নি বিধায় তাদেরকে বেতন দেয়া হয় নি। পৌরসভার দফাদার মৃত জনাব আবুল কাশেমের টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার পি.এফ.-এর টাকা পরিশোধ করা হয়েছে এবং আনুতৌষিকের কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, বাকি টাকা পৌরসভার রাজস্ব তহবিলে না থাকায় বিলম্ব হচ্ছে। ইতোমধ্যে পৌরসভার সাবেক সচিব মৃত এ.কে.এম. খোরশেদ আলম ও পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী মৃত মোঃ নজরুল ইসলামের পি.এফ. এবং জি. এফ. পৌরসভার তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

গত ০৮/০৮/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ থেকে ১১/০৮/২০২৪ খ্রিঃ পর্যন্ত পৌরসভার হিসেব থেকে ৫,৩৮,০০০/- (পাঁচ লাখ আটত্রিশ হাজার) টাকা উত্তোলন করা হয়। উক্ত টাকা থেকে পৌরসভার সুইপারদের বেতন, গাড়ি মেরামত ইত্যাদি কাজে ব্যয় হয়। যা ০৫/০৮/২০২৪ খ্রিঃ তারিখের আগেই ইস্যুকৃত চেক ছিলো। মেয়রের অনুমোদনক্রমে পৌরসভার অফিস সহায়ক/পিয়ন টাকা উত্তোলন করে, টাকা উত্তোলনে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিলো না।

এখানে উল্লেখ করা হয় যে, আমি আত্মগোপনে ছিলাম। কিন্তু আমি ৭ ও ৮ আগস্ট ২০২৪ বিধি মোতাবেক ছুটিতে ছিলাম এবং তৎপরবর্তী অসুস্থ্ থাকার কারণে অফিসে অনুপস্থিত ছিলাম। যার মেডিকেল সার্টিফিকেট আছে।

আমি সকল মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিবেদক--

মোঃ গিয়াস উদ্দিন,

এসেসর ও ক্যাশিয়ার (অঃ দাঃ)

ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়