রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে পানির নিচে চলাচলের রাস্তা

শামীম হাসান ॥
ফরিদগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে পানির নিচে চলাচলের রাস্তা

টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানির নিচে তলিয়ে গেছে জনসাধারণের চলাচলের বেশ ক'টি রাস্তা।

২১ আগস্ট বুধবার ঘুরে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ কেরোয়া এলাকা, পশ্চিম বাড়ালী ও ১৪নং দক্ষিণ ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার বেশ কিছু স্থানে সড়ক পানির নিচে ডুবে আছে। এতে করে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই সড়কগুলোতে নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রী ও গাড়ি চালকদের।

উপজেলার কেরোয়া এলাকায় সড়কের দুপাশে মাছচাষের ঘের থাকায় টানা বৃষ্টিতে ওইসব ঘেরের পানি অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় তিনফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে সড়কটি। এতে করে সড়কটিতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাইকপাড়া, আনন্দবাজার, সাহাপুর, মিরপুর ও কড়ৈতলী এলাকার সাধারণ যাত্রীদের বিকল্প রাস্তায় প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার অতিরিক্ত ঘুরে ফরিদগঞ্জ বাজারে আসতে হচ্ছে।

কেরোয়া এলাকার শুধু সড়কই নয়, আশপাশের অধিকাংশ বসতবাড়ির মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, বাড়িতে পানি ওঠার কারণে ঠিকমতো রান্নার কাজও করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে বাজারেও যাওয়ার সুযোগ নেই। রাস্তায় প্রায় দেহের মাঝামাঝি অংশ পর্যন্ত পানি উঠেছে। অধিক পরিমাণে পানি বৃদ্ধির কারণে মাছ চাষি ও মুরগি খামারের ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি এখন বেশ ক'টি সড়কও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলার ১৪নং দক্ষিণ ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় সড়কের দুপাশে নদী, চর ও ফসলি জমি পানিতে ভর্তি হয়ে সড়কের কিছু কিছু অংশ প্রায় হাঁটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। একই চিত্র ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বড়ালী এলাকাতেও। এতে করে ওই সড়কে যাতায়াত করা যানবাহনের যাত্রীদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও অটোবাইকের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন।

এ বিষয়ে কথা হয় মোটরসাইকেল চালক মুজাম্মেল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, পানির পরিমাণ এতোটাই বেড়েছে যে, এই রাস্তায় যাতায়াতের সময় মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চ্যালেঞ্জার পাইপ দিয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এ কারণে অনেক সময় মোটরসাইকেল চালু করা যাচ্ছে না। পানির কারণে যাতায়াতে চরম সমস্যা হচ্ছে। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ বিল্লাল জানান, কখন জানি গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়...! সেই ভয় নিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়