রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে

ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি

কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা সম্মিলিতভাবে সারাদেশব্যাপী যে নৈরাজ্য করছে তার প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে ফরিদগঞ্জ পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই মিছিলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাও যোগ দেন। মিছিল শেষে তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর ইউএনওর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মিছিল শেষ হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সহিদ উল্ল্যা তপদার, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলী আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী, সফর আলী, আবুল কালাম, মোনায়েম খান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের উপজেলা শাখার মশিউর রহমান মিটু, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শেখ।

নৈরাজ্যকারীদের কঠোর হস্তে দমন করার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। স্মারকলিপিতে তারা বলেন, যারা কোটার বিরোধের নামে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে তা কঠোর হস্তে দমন করার জন্যে আমরা দাবি জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীর দল সরকারের ক্ষমতা থাকা অবস্থায় স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের দোসররা দেশের উন্নয়ন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, যানবাহন ভাংচুর ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসের এক উন্মাদনায় মেতে উঠেছে, যা কোনোভাবেই সহ্য করার মত নয়। একাত্তরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রক্ত দিয়েছেন, ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছেন, ২ লক্ষ মা-বোন ইজ্জত দিয়েছেন। সেই ব্যথা-বেদনা এখনো ভুলতে পারি নি। এরই মধ্যে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরুত্থান ঘটে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির পিতার কন্যা, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের রূপকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে যারা রাজপথে স্লোগান দেয়, তাদেরকে কঠিন হস্তে দমন করা সময়ের দাবি। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বয়সের ভারে ৭১-এর মত হয়তো শত্রু মোকাবেলা করতে পারবো না, তবে শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করে যাবো। এইটাই আমাদের অঙ্গীকার, এটাই আমাদের জাতির পিতার শিক্ষা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়