রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৬

চাঁদপুরের সাঁতারের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুরের সাঁতারের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে

বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেছেন, চাঁদপুরের সাঁতারের ইতিহাস ও ঐতিহ্য শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বব্যাপী রয়েছে। এই সুনাম ও ঐতিহ্যের মূলে হচ্ছেন মরহুম আব্দুল মালেক, অরুণ নন্দীসহ আরো অনেকে। আমি তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। চাঁদপুরের এই কৃতী সাঁতারুদের মতো এই প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মের জন্যে কৃতী সাঁতারু তৈরি করতে আমি ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে সকল ধরনের চেষ্টা করে যাবো। এজন্যে সকলের সহযোগিতা চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করলে সফলতা পাবো। তিনি চাঁদপুরবাসীর প্রতি বিশেষ করে চাঁদপুরে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু সাঁতারই নয়, চাঁদপুরের সকল ধরনের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বা খেলোয়াড় তৈরি করতে আমার পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা থাকবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে মেধাবী ও ক্রীড়ামুখী করে তুলতে সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

মাহবুবুর রহমান শাহীন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে প্রথম চাঁদপুরে আসেন। এ সময় তিনি নিজ এলাকার বেশ কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলাস্থ নিজ বাসায় এলে শহরের বিভিন্ন ক্রীড়া, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তবে সবার পূর্বে নিজ ঘর অর্থাৎ চাঁদপুরে যে ক্লাবের দীর্ঘদিনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন, সেই ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠন গুয়াখোলা ক্রীড়া চক্রের পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত সুধীজন ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি উল্লেখিত কথাগুলো বলেন।

চাঁদপুরকে যেমন ইলিশের বাড়ি বলা হয়, তেমনি চাঁদপুর অনেক কৃতী সাঁতারুরও বাড়ি। এঁদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের ব্রজেন দাস কর্তৃক ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টির পর চাঁদপুরের কৃতী সন্তান হিসেবে একই চ্যানেল অতিক্রম করে সাড়া জাগান দেশখ্যাত সাঁতারু আব্দুল মালেক। আর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অবিরাম সাঁতারে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেন চাঁদপুরের আরেক কৃতী সাঁতারু অরুণ কুমার নন্দী। কাকতালীয়ভাবে দুজনই চিরকুমার ছিলেন। মরণোত্তর এঁদেরকে নিয়ে মাতামাতি করে চাঁদপুরের সাঁতারের ঐতিহ্য রক্ষার কাজটি চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থারই করার দরকার ছিলো। কিন্তু তারা খ্যাতিমান এই দু সাঁতারুর নামে যথাক্রমে 'মালেক ক্রীড়া ভবন' ও 'অরুণ নন্দী সুইমিং পুল' করেই যেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্লান্ত। যে কারণে চাঁদপুরের সাঁতারের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে যাঁরা এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা পৃষ্ঠপোষকতার অভাব তো বটেই, উৎসাহ পাওয়ার অভাবটুকুও বোধ করেন। যার ফলে আব্দুল মালেক ও অরুণ নন্দীর শূন্যস্থান আর পূরণ হয়নি। এক্ষেত্রে দু দশক আগে সাঁতার সংগঠক হিসেবে চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মাহবুবুর রহমান শাহীনের বাংলাদেশে সাঁতারের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অধিষ্ঠান ছিলো দ্যুতি ছড়ানো বিষয়। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সে দ্যুতিতে জনাব শাহীনের প্রয়াস ব্যাহত হয় এবং চাঁদপুরের উদীয়মান সাঁতারুরা আশাহত হন। পুনর্বার তাঁর একই পদে অধিষ্ঠান এবং চাঁদপুরে এসে শুভেচ্ছা-অভিনন্দনে সিক্ত হবার পর স্থানীয় সাঁতারের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে তাঁর ঘোষণা আশাপ্রদ বিষয়ই বটে। এই ঘোষণা কাজে লাগাতে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে সবার আগে এগিয়ে আসার জন্যে আমরা জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়