বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

মারামারির ঘটনায় অভিযোগের তদন্তভার ডিবিতে ॥ বাদীর প্রতি বিবাদীর হুমকি অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥

মোকাম বিজ্ঞ শাহরাস্তি আমলী আদালতে মারামারি ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ কামাল হোসেন। ওই অভিযোগের তদন্তভার ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর প্রতি বিবাদী হুমকি অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাদী মোঃ কামাল হোসেন জানান, গত ২৬ মে ঢাকা থেকে শাহরাস্তির আজাগরা গ্রামের বাড়িতে বিকেলে আসি। বিবাদীরা সন্ধ্যার পর আমার ঘরের সামনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে কিল, ঘুষিসহ বেদম মারধর করে। আবার আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। আমার ডাক-চিৎকারে আমার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। ঘরে থাকা স্ত্রীর পার্সব্যাগসহ নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন গলা থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। পরে আমি সুস্থ হয়ে গত ৪ জুন মোকাম বিজ্ঞ শাহরাস্তি আমলী আদালতে মারামারি ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করি। তারপর থেকেই বিবাদী ১. বেলায়েত হোসেন (৫৭) (পিতা মৃত আয়ুব আলী), ২. জসিম উদ্দিন কিরণ (৪৬) (পিতা মৃত সুলতান আহাম্মদ), ৩. নাজমা আক্তার (৩৮) (পিতা আলী আক্কাস) ও ৪. ফাহমিদা আক্তার তানিয়া (২৮) (পিতা বেলায়েত হোসেন মিলন)সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে।

২৫ জুন আদালতের আদেশে চাঁদপুর জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আমেনা বেগম তদন্ত করতে আমাদের বাড়িতে যান। ওই তদন্ত কর্মকর্তা চলে আসার পর বেলায়েত হোসেন মিলন ও জসীম উদ্দীন কিরণ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং আমার লাশ পর্যন্ত বাড়িতে ঢুকতে দেবে না বলে আমাকে শাসিয়ে যায়। আমি এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনকে অবগত করতে চাই। আমি আমার বাড়িতে থাকবো সে অধিকারটুকু যেনো আমি পাই এবং ডিবি পুলিশের তদন্ত কাজ যাতে সুষ্ঠু হয় সেটাই প্রশাসনের কাছে আমার প্রত্যাশা। আদালতের কাছে আমি ন্যায়বিচার চাই।

মামলার আইও আমেনা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি তদন্ত গিয়েছি। আমি এ বিষয় নিয়ে কাজ করছি।

এ বিষয়ে কথা হয় বিবাদী জসীম উদ্দীন কিরণের সাথে। তিনি জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়