বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

পুরাণবাজারে সংঘর্ষে নিহত আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
পুরাণবাজারে সংঘর্ষে নিহত আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। ২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পরে মামলার অন্যতম বিবাদী চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝিকে প্যানেল মেয়র পদ থেকে বাদ দিতে মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। এছাড়া তারা বিক্ষোভ করে জেলা প্রশাসকের কাছেও স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি একজন সন্ত্রাসী ও এলাকায় দখলদার ব্যক্তি। সম্প্রতি চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ছেলে মোঃ রাকিব মাঝি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমরা তার সাথে না থাকায় আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। নির্বাচনে তার ছেলে পরাজিত হওয়ায় আল-আমিনকে তারা আক্রমণ ও গুলি করে হত্যা করে। মোহাম্মদ আলী মাঝি এবং তার দুই ছেলে সজিব মাঝি ও রাকিব মাঝিসহ অন্যদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাই।

আল-আমিনের বাবা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আঃ মজিব খান ডেঙ্গু বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র-১ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝি চানাচুরের ব্যবসা করে কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়? তার নামে চাঁদপুরে ও ঢাকায় ৫-৭টি বাড়ি আছে। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে সে ও তার দুই ছেলে সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টি করেছে। মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পৌরসভা নির্বাচন করে কাউন্সিলর হয়েছে। টাকা দিয়ে হয়েছে প্যানেল মেয়র। তারা ক্ষমতা পেয়ে এখন মানুষকে গুলি করে মারছে। আমার ছেলের হত্যার বিচার না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবো আমরা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহত আল-আমিনের চাচা খালেক খান, তার বড় ভাই সোহাগ খান, চাচাতো বোন বিলকিস বেগম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ হাওলাদার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন মঙ্গলবার রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পলাশের মোড়ে মেরকাটিজ রোড ও নিতাইগঞ্জ রোডের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মেরকাটিজ রোডের বাসিন্দা আল-আমিন খান (৩০) মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে মোহাম্মদ আলী মাঝির ছেলে সজিব মাঝি। এ ঘটনায় ১৩ জুন চাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলায় আসামী করা হয়েছে ৩৭৮ জনকে। আসামীদের মধ্যে মোহম্মদ আলী মাঝি, সজিব মাঝি ও রাকিব মাঝিসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৬ আসামী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়