বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালে রোগীর ওপর হামলা ॥ অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে?

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালে রোগীর ওপর হামলা ॥ অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে?

বাড়িতে হামলার শিকার হয়ে আহত হওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গিয়েছে রোগী। সেই রোগীকে হাসপাতালে এসে পুনরায় মারধর করেছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনা দেখে অন্য রোগীদের ভেতর আতঙ্ক দেখা দিলে তাদের ডাকচিৎকার শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসে প্রথমে সন্ত্রাসীদের থামানোর চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা কাউকে তোয়াক্কা না করায় হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হয়ে রাকিবুল ইসলাম (২১) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোমবার ২৪ জুন বিকেলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা না ভেবে লিখিত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সরকারি হাসপাতালে আইনশৃৃঙ্খলার এমন অবনতি হলেও ওই যুবককে ছেড়ে দেয় পুলিশ। থানা থেকে ছাড় পেয়ে ওই রোগীর পরিবারকে পুনরায় হুমকি দিয়ে আসছে রাকিবুল ইসলাম নামের যুবক। ফলে হাসপাতালের রোগী ও স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়েও।

তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর কেরোয়া বেপারী বাড়িতে ২৩ জুন রোববার রাতে ওই বাড়ির শাহআলম (৬৫)’র সাথে তার ভাই আবদুর রবের সাথে সম্পত্তিগত পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার শাহ আলম স্থানীয়দের সহায়তায় ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।

এদিকে ২৪ জুন সোমবার প্রতিপক্ষ আবদুর রবের ছেলে রাকিবুল ইসলাম একদল বখাটেদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী শাহআলমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাসপাতালে অন্য রোগীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত রাকিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করে থানা পুলিশ।

সরকারি হাসপাতালে হামলার শিকার শাহআলম বলেন, আমার ওপর যে হামলা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সকলের কাছে হামলাকারী রাকিবুল ইসলামের বিচার চাই।

এদিকে রাকিবুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর একদল দালাল তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখে। পরে রাতে রাকিবুল ইসলামকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আমিন মিয়াজী জানান, আমি মীমাংসার স্বার্থে আমার জিম্মায় রাকিবকে নিয়ে আসছি।

হাসপাতালে হামলার শিকার শাহআলম মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে বলেন, আমার ওপর যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, আমি প্রশাসনের ও বিচার বিভাগের কাছে উচিত বিচার চাই।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে রোগীর ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাকিবুল ইসলাম নামে একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যুবককে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে জানান, প্রতিপক্ষ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রোগীর জামাতার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, আবাসিক ওয়ার্ডে রোগীর ওপর বহিরাগতরা হামলা করে। হাসপাতালের লোকজন রাকিবুল নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দেয়। থানা থেকে যুবককে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। রোগীদের নিরাপত্তার স্বার্থে লিখিত কোনো ব্যবস্থা ও অভিযোগ করেছেন কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তা করিনি।

বিষয়টি নিয়ে জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ওপর হামলার বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করতে বলবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়