শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

হাইমচরে কলেজের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি ॥
হাইমচরে কলেজের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

হাইমচর উপজেলার এমজেএস (মালের হাট যুব সংঘ) স্কুল এন্ড কলেজের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর। গতকাল ২৪ জুন সোমবার প্রধান শিক্ষক চাঁদপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৭৪২ /২০২৪)।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নথি পর্যালোচনা করে অস্থায়ী স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্যে হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জকে নোটিস প্রদান করেন। নালিশি ভূমির দখল বিষয়ে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নোটিস প্রদান করেন। ২য় পক্ষ শাহালম বেপারীকে পরবর্তী তারিখ ২১/০৮/২০২৪-এ কারণ দর্শাতে বলা হয়।

হাইমচর থানা পুলিশ আদেশনামা নিয়ে শাহালম বেপারীর নিকট গিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উক্ত স্থানে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বলেন।

স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সরদার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, কলেজের জায়গা দখল করে স্থানীয় শাহালম বেপারী রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণ করার বিষয়টি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেলে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে কলেজের জায়গা দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে চাঁদপুর আদালতে অভিযোগ দায়ের করি। আদালত উক্ত ভবন নির্মাণ কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর শাহালম বেপারী আমাকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে মারতে তেড়ে আসেন। প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করার প্রতিবাদ করায় আজ আমি হুমকির মুখে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমি এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।

স্কুল এন্ড কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এসএম আল মামুন সুমন জানান, কলেজের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আমার নজরে আসে। প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলমুক্ত করতে প্রধান শিক্ষক আইনের দ¦ারস্থ হয়েছেন। আদালত নির্মাণাধীন কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যিনি ভবন নির্মাণ করেছেন, কী কাগজের বলে করেছেন তা আদালতে পেশ করবেন। আদালত উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে যে রায় দেবে প্রতিষ্ঠান তা-ই মেনে নেবে। যেহেতু এই সম্পদ এমজেএস স্কুল এন্ড কলেজের নামে রেজিস্ট্রি করা, তাই আদালতের রায় কলেজের পক্ষেই আসবে বলে আমরা আশা করি। এটা কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। আমরা কেউ চিরকাল থাকবো না, এই প্রতিষ্ঠান ঠিকই থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়