শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

পরিচিত অন্তত ৩০ জন ছোট বোনের বাল্যবিবাহ হয়েছে, স্কুল খোলা থাকলে এমনটি ঘটতো না
স্টাফ রিপোর্টার ॥

অতিমারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রায় দেড় বছরের মত বন্ধ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের অবসরকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়েছে অনেকে। জেলা শহরেই মাধ্যমিক স্কুলের ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী, চ্যাম্পিয়ন বিতার্কিক তাসনিয়া ইসলাম নোভা। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে ওই সকল ছাত্রীকে বাল্যবিয়ের বলি হতে হতো না। ছাত্রদের জড়াতে হতো না শিশুশ্রমে। চাঁদপুর কণ্ঠের বিশেষ আয়োজন ‘কলেজে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা’ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজকের পর্বে কথা হয় চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের কৃতী এই শিক্ষার্থীর সাথে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তাৎপর্য, অনলাইন ক্লাসের প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানে করণীয় বিষয়ে পর্যায়ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন চলছে করোনাকালীন পড়ালেখা?

তাসনিয়া ইসলাম নোভা : করোনায় পড়ালেখার প্রতি কিছুটা অমনোযোগী হয়ে উঠেছি যা অস্বীকার করা যাবে না। প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই একই অবস্থা। তবে অনলাইন ক্লাস করার মাধ্যমে লেখাপড়ার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। যদিও মাঝে মধ্যে নেট প্রবলেমের কারণে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন?

তাসনিয়া ইসলাম নোভা : সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতাই হলো মোবাইল মেগাবাইট। সকল শিক্ষার্থীর পক্ষে ডাটা প্যাক কিনে পুরো মাস অনলাইন ক্লাস করার সুযোগ থাকে না। তাই মহামারীর এই সময়ে স্কুল-কলেজ খোলার অবস্থা না থাকলেও শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ডাটা প্যাকের ব্যবস্থা করলে অনেকেই এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে বলে আমি মনে করি। সেক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ না খুলে এটিকে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে কাজে লাগানো যায়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দীর্ঘদিন একটানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

তাসনিয়া ইসলাম নোভা : আজ পর্যন্ত টানা ৫৩০ দিনের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অনেকটা একঘেঁয়েমি চলে এসেছে। অনেকটা অলসতাও কাজ করে। এই অলসতা খুব সহজে কাটানো যাবে না। দীর্ঘদিন একটি লোহা ফেলে রাখলে যেমন মরিচা পড়ে তেমনি দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধেও শিক্ষার্থীদের মেধায় মরিচা পড়ে যাচ্ছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সবচেয়ে নেতিবাচক দিক কোন্টি বলে মনে করছেন?

তাসনিয়া ইসলাম নোভা : করোনায় লেখাপড়া ছেড়েছে এমন শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক। আমার পরিচিত দশম শ্রেণিতে পড়ে এমন অনেক ছোট বোনের বাল্যবিবাহ হয়েছে। এদের সংখ্যা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন! শহরেরই এই অবস্থা, গ্রামে আরো কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে এমনটি হতো না। চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আপনার কোনো মতামত আছে?

তাসনিয়া ইসলাম নোভা : স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলার পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি। তবে বিশেষ সচেতনতার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে। পুরো সপ্তাহে খোলার সিদ্ধান্ত না নিয়ে সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য পরীক্ষামূলক খোলা যেতে পারে। কেননা পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দোয়া করি মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়