প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে হাজী মোঃ কাউছ মিয়ার ২৩ পশু কোরবানি
চুরানব্বই বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা, প্রবীণ ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও দানশীল হাজী মোঃ কাউছ মিয়া। তাঁর বড় পরিচয় তিনি চাঁদপুরের কৃতী সন্তান। বর্তমানে তিনি পুরাতন ঢাকার নিজ বাসভবনে শয্যাশায়ী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গেল রমজান মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে তাঁর সন্তানরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে জরুরি ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রায় মাসখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কিছুদিন আগে দেশে আনা হয়। এখন রাজধানীর আরমানিটোলার বাড়িতেই আছেন।
এমন অসুস্থতার মধ্যেও চাঁদপুরের অসহায় মানুষের কথা ভুলে যাননি তিনি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আল্লাহর ওয়াস্তে গরিবের জন্যে চাঁদপুরে ২৩টি পশু কোরবানি দিয়েছেন। সোমবার (১৭ জুন, ২০২৪) পবিত্র ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে পশুগুলো কোরবানি দেন। ২৩টির মধ্যে চাঁদপুর শহরের মুখার্জিঘাটস্থ পুরাতন বাড়িতে দশটি, রাজরাজেশ্বর চর এলাকায় আটটি ও তরপুরচণ্ডী ইউনিয়নের আনন্দবাজার পুরু-ুপুরে ৫টি গরু কোরবানি দেন। কোরবানিকৃত পশুর মাংস ওইসব স্থান থেকেই বিতরণ করে দেয়া হয়। হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়ার সম্মতি নিয়ে তাঁর সন্তানদের পক্ষে ছেলে হাজী মানিক মিয়া চাঁদপুরে ২৩টি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন বলে জানা যায়।